বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬, ০৬:৪৭:১০

অন্ধকার অধ্যায় কাটিয়ে ফের আলোর পথে শ্বেতা প্রসাদ

অন্ধকার অধ্যায় কাটিয়ে ফের আলোর পথে শ্বেতা প্রসাদ

বিনোদন ডেস্ক : আবির্ভাবে তোলপাড়। তার পরই জীবনের অন্ধকার গলিপথে নিরুদ্দেশ। আদালতে অবশ্য শেষ পর্যন্ত সে সব অন্ধকার অধ্যায় থেকে নিষ্কৃতি মিলেছে তার। মিডিয়ার স্পটলাইট থেকে এবার পর্দার আলোয় ফিরছেন শ্বেতা প্রসাদ।

সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে ‘ইন্টেরিয়র ক্যাফে নাইট’ নামের একটি শর্ট ফিল্ম। যেখানে নাসিরুদ্দিন শাহ এবং শেরনাজ পটেলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ২৬ বছরের শ্বেতা। মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ার তুমুল হিট এই শর্ট ফিল্ম। তবে শুধু অভিনয়ই নয়, এই ছবিতে সহ-প্রযোজনাও করেছেন শ্বেতা।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়ায় হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফেই শ্বেতার একটি বিবৃতি পাওয়া গিয়েছিল। সেই বিবৃতি বলছিল, অভাবে পড়েই এই পেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শ্বেতা নিজেই।

কিন্তু আদালতের রায়ে মুক্তি পাওয়ার পরে এ দিন তার চিঠিতে শ্বেতা দাবি করেছিলেন, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। বরং তার প্রশ্ন ছিল, “এ সব কার কল্পনা? মনে হচ্ছে আশির দশকের কোনও ফিল্মের সংলাপ!”

সংসারে অভাবের কথা উড়িয়ে দিয়ে হাতে কাজ না থাকার খবরটিও পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন শ্বেতা। জানিয়েছিলেন, পড়াশোনার জন্য ‘ইকবাল’-এর পর বাবা-মা আর ছবি করতে দেননি। পরে কিছু দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেন।

শ্বেতার অভিযোগ ছিল, সংবাদমাধ্যমের একাংশই এই ভুয়ো বিবৃতি ছড়ানোর জন্য দায়ী। তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন একটি পুরস্কার নিতে তিনি হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের পর একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন উদ্যোক্তারা। সেই সংক্রান্ত তথ্য তার ইমেল ইনবক্সে রয়েছে।

২০০২ সালে ‘মকড়ি’ এবং ২০০৫ সালে ‘ইকবাল’-এ দুর্দান্ত অভিনয় করে সমালোচকদের নজর কেড়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সমীর চন্দের ‘এক নদীর গল্প: টেল অফ এ রিভার’-এ শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎই (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় লাইম লাইট থেকে সরে গিয়েছিলেন। আত্মবিশ্বাস আর প্রতিভায় ভর করে ফের ফিরে এলেন খ্যাতির আলোকবৃত্তে।

২০ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে