সোমবার, ০১ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:৩১:১৯

নিজের ভাই নয়, কান্দিল বালোচের খুনি অন্য একজন

নিজের ভাই নয়, কান্দিল বালোচের খুনি অন্য একজন

বিনোদন ডেস্ক : পরিবারের অনেকেই যে কান্দিল বালোচ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বা পরোক্ষে যুক্ত, তা এত দিনে স্পষ্ট হয়ে গেছে পাকিস্তান পুলিশের কাছে। এ বার পলিগ্রাফ টেস্ট বা লাই ডিটেক্টরে উঠে এল নতুন ‘তথ্যপ্রমাণ’।

কান্দিলের নিজের ভাই এবং এই হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওয়াসিম প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, তিনিই বোনকে শ্বাস রোধ করে মেরেছেন। এই খুনের জন্য তিনি যে এতটুকু অনুতপ্ত নন, তাও বলেছেন ওয়াসিম। কিন্তু ওয়াসিম এবং আর এক অভিযুক্ত হক নওয়াজের পলিগ্রাফ টেস্টে ধরা পড়ল, সেই বয়ান ঠিক নয়। কান্দিলকে ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করার পর ওয়াসিম তার হাত, পা চেপে ধরেছিলেন। আর শ্বাস রোধ করে খুন করেন কান্দিলের তুতো ভাই হক নওয়াজ।

গত ১৫ জুলাই রাতে মুলতানে নিজের বাড়িতেই খুন হন পাক মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটি কান্দিল বালোচ। খুনের পর কান্দিলের ভাই ওয়াসিমের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বাবা মোহাম্মদ আজিম। গ্রেফতারের পর ওয়াসিম খুনের কথা স্বীকার করেন। পারিবারিক ‘সম্মান’ রক্ষা করতেই এই খুন বলে তিনি জানান। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে একা ওয়াসিম নন, এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ কেউ জড়িত।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, হঠাত্ ঝোঁকের মাথায় করে ফেলা খুন এটা নয়। যথেষ্ট ভেবেচিন্তে, পরিকল্পনা করেই যে কান্দিলকে মারা হয়েছিল তা  পুলিশ নিশ্চিত। পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে শুধু কান্দিলকেই নয়, ওষুধ দিয়ে বেহুঁশ করে ফেলা হয়েছিল তার বাবা, মাকেও। তদন্তে উঠে এসেছে, কান্দিলের বড় ভাই, সৌদি আরব প্রবাসী আরিফ, কান্দিলকে খুন করে ফেলার জন্য বারবার উস্কে গেছেন ভাই ওয়াসিমকে। কান্দিলের বোন শাহনাজ এবং তুতো ভাই  হক নওয়াজও এই খুনে জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ। শাহনাজ এবং হককে দিন কয়েক আগে গ্রেফতারও করা হয়। তবে তদন্তকারীদের মতে, খুনের মূল পরিকল্পনাটা করেছিলেন ওয়াসিম এবং হক- এই দু’জনে মিলেই।

পুলিশি সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ নেই পাকিস্তানের প্রথম সারির ধর্মগুরু মুফতি আবদুল কাভি। এই ধর্মগুরুর সঙ্গে কান্দিলের সেলফি পোস্ট করে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন কান্দিল। রমজান চলাকালীন করাচির এক হোটেলের ঘরে তোলা এই ছবি পোস্ট হতেই সমালোচনার তুমুল ঝড় ওঠে।

একটি ছবিতে ওই ধর্মীয় নেতার টুপিও মাথায় দিয়ে ছিলেন কান্দিল। আবদুল কাভির কোলে বসা ছবিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। তুমুল বিতর্কের জেরে ওই ধর্মীয় নেতাকে ইদের চাঁদ দেখার কমিটি থেকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান সরকার। কাভি সাফাই দেন, ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি কান্দিলের কাছে গিয়েছিলেন।

০১ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে