শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:৪১:০৪

মৎস্যমন্ত্রীকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে যে কারণে অব্যাহতি

মৎস্যমন্ত্রীকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে যে কারণে অব্যাহতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব না দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর পদ থেকে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমন্বয় না করেই এককভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বিষয়টি  নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে মন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করাসহ মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণেরও দাবি জানানো হয়।

আল মামুন সরকার জানান, সভায় বলা হয়- বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমন্বয় না করে এককভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেন মন্ত্রী ছায়েদুল হক। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত নাসিরনগরের গুনিয়াউক ও হরিপুর ইউনিয়নের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের পরাজিত করানোর চেষ্টা, তাদের কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করানো ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করেন মন্ত্রী। এসব ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি গত ২৫ জুন  সভা করে সর্বসম্মতভাবে মৎস্যমন্ত্রীকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে শোকজ করা হয়। মন্ত্রী এ শোকজ নোটিশ আমলে নিলেও এর কোনও উত্তর দেননি। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ  শুক্রবার কার্যকরী কমিটির সভায় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মন্ত্রী ছায়েদুল হককে উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেন।

একই সঙ্গে উদ্ধত আচরণ ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করে শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়ায় নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সভায় নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকারকে দ্বিতীয়বার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের পরিচালনায় অনু্ষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ আলম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈনউদ্দিন মঈন প্রমুখ। -বাংলা ট্রিবিউন।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে