ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৩টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, নাছিরনগরের সহিংসতার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের হামলার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরবর্তী সময়ে আগেই দায়ের করা মামলায় তাদের আসামি হিসেবেও দেখানো হতে পারে।
ইকবাল হোসাইন জানান, দুস্কৃতিকারীরা কেউ ছাড় পাবে না। তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয় যা মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কলেজ মোড় এবং খেলার মাঠে একাধিক ইসলামি দলের নেতারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ তিন থেকে ৪শ’ লোক সংঘবদ্ধ হয়ে এ ঘটনার জন্য হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুরো উপজেলা সদরের হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক পরিবার এবং তাদের মন্দিরে বর্বরোচিত হামলা চালায় তারা। হামলাকারীদের থামাতে পুলিশ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কাজল দত্ত এবং নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। এসব মামলায় অজ্ঞাত ১২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার পর আবারও নমশুদ্র পাড়া, বণিক পাড়া, ঠাকুর পাড়ায় ৫টি ঘর এবং দাসপাড়ার গোবর্ধন দাসের বাড়িতে থাকা ১টি দূর্গামন্দিরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় এলাকাবাসী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ফলে কাউকেই চিনতে পারেননি তারা। -বাংলা ট্রিবিউন।
০৫ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম