ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের কাইতলা গ্রামের আবদুর রহমানের (রাডু) ছেলে আবু হানিফের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ। কিন্তু এই হানিফ এখন মুক্তিযোদ্ধা। মৃক্তিযোদ্ধা হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তিনি। নিজের সন্তানদের সরকারি চাকরিও বাগিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। তার এ কাণ্ডে এর আগে মামলা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলন করা হয় তার শাস্তির দাবি জানিয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। কাইতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান (রাডু) মিয়ার ছেলে আবু হানিফ যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়, তার বিভিন্ন প্রমাণাদি পেশ করা হয়।
নবীনগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবদুর রহমান (রাডু) মিয়ার ছেলে আবু হানিফ কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিকালীন তার জন্ম তারিখ ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ লিপিবদ্ধ করা হয়।
এতে বলা হয় কাইতলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত আবদু মিয়ার ছেলে মৃত মো. হানিফ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করার সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আবু হানিফের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান কাইতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আবু হানিফকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এরপর থেকে আবু হানিফ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মৃত মো. হানিফের এফএফ নং-৪৫৬ ও কল্যাণ ট্রাস্ট নং-৩৩১১২ ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের সব ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর মো. হানিফের স্ত্রী আবু হানিফের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। নবীনগর থানার এসআই মো. শাহআলম সরকার তদন্ত করে ওই অভিযোগের সত্যতা পান এবং আবু হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এমটিনিজউজ২৪.কম/টিটি/পিএস