ব্রাহ্মণবাড়িয়া: অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাপার প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। সমর্থন দিয়েছেন জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও দুইবারের এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সিংহকে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রেজাউল বলেন, মহাজোট নেত্রী ও এরশাদ আমাকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে জিয়াউল হক মৃধা আমার শ্বশুর। রাজনীতি ও মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কাল্পনিক বিরোধ তৈরি হয়েছে। এটাকে যেভাবে রঙিন করা হয়েছে। আমরা হতাশই হয়েছি।
গত বৃহস্পতিবার আমার শ্বশুর-শাশুড়ি বাসায় এসেছিলেন। উনারা আমাকে কিছুই বলেননি। আমি নিজে থেকেই বলেছি একটা কিছু করবো। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি জিয়াউল হক মৃধা এমপি হওয়ার পেছনে আমার ভূমিকা ছিল। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম ওই ভূমিকার প্রতিদান সরাইলবাসী দিবে। অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি। অনেকের পাইনি। স
রাইল আশুগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেই বলেছেন এখানে একটা অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে। এই চক্রটা আরেকটি অপশক্তিকে এগিয়ে দিচ্ছে। অপশক্তিকে রুখে দিতেই আজকের এ সংবাদ সম্মেলন। রেজাউল বলেন, বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা ও এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। সেই সঙ্গে আমি জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন দিলাম।
আপনারা সকলেই ‘সিংহ’ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। জিয়াউল হক মৃধা দুইবার এমপি হওয়ার পেছনে রেজাউলের অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ের জামাতা আসলেই ছেলে তুল্য। সরাইলের জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন। আমাকে ও রেজাউলকে নিয়ে অনেক কিছু লিখা হয়েছে। যা আমরা জানি না। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভানুমতির একটা খেলা চলে আসছিল। নির্বাচনে শুধু হোঁচট খেতাম। কেমন একটা বাধা ও অশান্তিবোধ করতাম। রক্ত ও পানি কাটলে দু’ভাগ হয় না। এটা আমরা বুঝতে পেরেছি। সরাইল আশুগঞ্জকে ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যের বড়ই প্রয়োজন ছিল। তাই রেজাউলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।