ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ফেসবুকে পরিচয়, সেই সূত্রে টুকটাক কথাবার্তা। এরপর ভালোলাগা থেকে সোজা মন দেয়া-নেয়া। এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক। শেষমেশ সবকিছু অস্বীকার করে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন প্রেমিক।
তবে প্রেমিকাও ছাড়ার পাত্রী না। গত ১৫ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন ওই কলেজছাত্রী। শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজুল খানের (২৭) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী।
তরুণীর পরিবার ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে শেরপুর এলাকার আবুল কালাম খানের ছেলে সিরাজুল খানের সঙ্গে পরিচয় হয় শহরের বাগানবাড়ি এলাকার ওই কলেজছাত্রীর। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরাজুল ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী সিরাজুলকে বিয়ের কথা বললে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এরপর ওই কলেজছাত্রী সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী মাসহ অন্য অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য সম্মত হয় এবং সিরাজুলও বিয়ের জন্য রাজি হন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করার পর সিরাজুল ও তার পরিবারের লোকজন বিয়ে হবে না বলে জানিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ওই কলেজছাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। সর্বশেষ গত ৯ জুলাই বিকেলে ওই কলেজছাত্রী সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে আবার বিয়ের কথা বললে তিনি সব সম্পর্ক অস্বীকার করেন এবং কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনদের গালিগালাজ করেন। একইসঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর ছবি-ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেন।
ওই কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘ওর (সিরাজুল) কারণে আমার মান-সম্মান সব গেছে। এলাকাবাসী সবাই জানে আমি সিরাজের বউ। এখন ওর সঙ্গে যদি আমার বিয়ে না হয় আমি আর মুখ দেখাতে পারব না। আমার মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। আমি একটা আশাতেই বেঁচে আছি ও আমাকে বিয়ে করবে, আমি ওর বউ হব।’
তবে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সিরাজুল খানের মুঠোফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তার বাবা আবুল কালাম খানকে ফোন করলে তিনিও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জিডি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বলেন, জিডির বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে