নিউজ ডেস্ক : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. শাহাদত। সকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উৎসুক হয়ে তিনি এসেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়।
উপজেলার মন্দবাগের দুর্ঘটনাস্থলে কৌতুহলবশত একটু ঝুঁকে পড়ে ম'রদে'হ দেখছিলেন। হঠাৎ তার চোখে পড়ে চাচা-চাচির ম'রদে'হ। চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমার (৪৩) নিথর দে'হ পড়ে ছিল পাশের বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়।
শাহাদত জানান, মন্দবাগ এলাকায় থেকে ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন তিনি। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ট্রেন দু্র্ঘটনার খবর শুনে কৌতুহল নিয়ে। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন ম'রদে'হ দেখতে। এসে বারান্দায় থাকা নিজের চাচা মজিবুর রহমান ও চাচি কুলসুমার ম'রদে'হ দেখে হ'তবাক হয়ে পড়েন তিনি।
শাহাদত আরও জানান, মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িকে ফিরছিলেন। সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের ছেলে ফোন দিয়েছে খবর জানতে। আমি এখনও চাচা-চাচির মৃ'ত্যুর খবর বাড়িতে জানাতে পারিনি।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে এ হ'তাহ'তের ঘটনা ঘটে। এতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃ'তদে'হ উদ্ধার করা হয়েছে।