নিউজ ডেস্ক : দুটি ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রী যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখনই বিকট শব্দ ঘুম ভাঙে সবার। দুটি ট্রেনের সং’ঘর্ষে উদয়ন এক্সপেস ট্রেনের পেছনের কয়েকটি বগির আসনে থাকা যাত্রীরা সামনের সিটের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
মুহূর্তেই ঘুম ভাঙে সবার। কিছুক্ষণ আগেও যেখানে বিরাজ করছিল সুনসান নীরবতা মুহূ’র্তের মধ্যে সেখানে শুরু হয় মানুষের গণনবিদারী আত্মচিৎ’কার। আবার অনেকে ঘুমেই মধ্যেই চলে যান না ফেরার দেশে। সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ এলাকায় তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সং’ঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নি’হত হয়।
আহ'ত হয় ৩০ জনেরও বেশি। তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর উদয়ন এক্সপ্রেস যাচ্ছিল সিলেট থেকে চট্টগ্রাম। দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া শরিফুল নামে এক যাত্রী দু’র্ঘটনার ভ’য়াবহতার কথা বর্ণনা করেন। ভ’য়াবহ এই দু’র্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি কা’ন্নায় ভেঙে পড়েন। বেশি ক্ষ’তিগ্রস্ত উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রী ছিলেন তিনি।
শরিফুল জানান, ট্রেনের প্রায় সব যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভা’ঙে সবার। চোখ খুলেই দেখেন চারপাশে লণ্ড’ভণ্ড। ট্রেনের যাত্রীরা বাঁচাও বাঁচাও চিৎ’কার করছেন। অনেক জায়গায় হ'তাহ'তদের রক্ষের ছাপ। যারা বেঁচে আছেন তাদের অনেকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।
আবার কেউ বের হতে না পেরে কা’ন্নায় ভেঙে পড়ছেন। সে এক বী’ভৎস দৃশ্য। এসব কথা বলার সঙ্গে তিনি হা’উমাউ করে কা’ন্নায় ভে’ঙে পড়েন।
শেষ রাতের ভ’য়াবহ এই ট্রেন দু’র্ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের বেশ কয়েকটি বগি ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি বগি প্রায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। হ'তাহ'তদের বেশিরভাগই উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের তিনটি বগির যাত্রী ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় উ’দ্ধার কাজে অংশ নেয়। আ’হতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও ম’রদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হ'তাহ'তদের উ’দ্ধারে এখনো অ’ভিযান চলছে।