মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩০:১৭

কথা ছিল সকালে দেখা হবে, তা আর হলো না

কথা ছিল সকালে দেখা হবে, তা আর হলো না

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : চাকরির কারণে হবিগঞ্জ শহরে থাকতেন আলী মো. ইউছুফ। ছিলেন হবিগঞ্জ লিটল ফ্লাওয়ার কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার স্ত্রী চিশতিয়া বেগম (২৫) রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স। 

তাদের ১৪ মাসের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। জীবিকার কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজন দুই জেলায় থাকলেও মাসে অন্তত একবার স্ত্রীকে দেখতে যেতেন ইউসুফ। সোমবার রাতে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন তিনি। 

ট্রেনে ওঠার আগে স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, ‘সকালে দেখা হবে।’ কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস- সেই দেখা আর হলো না তাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নীশিথার মধ্যে মুখোমুখি সং'ঘ'র্ষ কেড়ে নেয় আলী মো. ইউছুফের জীবন। 

দুই ট্রেনের সং'ঘ'র্ষে ঘটনাস্থলেই নি'হ'ত হন তিনি। খবর পেয়ে বা'করু'দ্ধ হয়ে যান তার স্ত্রী চিশতিয়া। লা'শ নিতে স্বামীর চাচাতো ভাই উজ্জ্বল ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে ভোরেই ঘটনাস্থলে রওনা দেন তিনি। 

কসবা পৌঁছানোর পর থেকে একটা কথাও বলেননি চিশতিয়া। শোকে পাথর হয়ে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে এক মনে তাকিয়ে থাকছেন। চোখের পানিও যেন শুকিয়ে গেছে তার। স্বামীর লা'শ বুঝে পাওয়ার পর একবার ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন। তারপর আবার নির্বাক।

উজ্জ্বল বলেন, এমন আচমকা বি'প'দে স্বামীর শো'কে পা'থ'র হয়ে গেছেন ভাবী। কারও সঙ্গেই কথা বলছেন। মেয়েটার কথা ভেবে কষ্ট লাগছে। আল্লাহতায়ালা যেন ভাবীকে শো'ক সইবার শক্তি দেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে