কুমিল্লা থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ম'র্মা'ন্তিক ট্রেন দু'র্ঘ'টনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন কাওসার (৩০) নামের এক যাত্রী। তবে দু'র্ঘ'ট'নায় তিনি মা'রা'ত্ম'ক আ'হ'ত হয়েছেন।
কাওসারের পাজরের হাড় ভেঙে গেছে। পায়েও আ'ঘা'ত পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আ'হ'ত কাওসারের বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর শ্যামলী গ্রামে। পেশায় তিনি সিএনজিচালিত অটোচালক।
হাসপাতালের বেডে শুয়েই দু'র্ঘ'ট'নার মুহূর্তের বর্ণনা দেন দু'র্ঘ'টনাক'ব'লিত উদয়ন এক্সপ্রেসের এই যাত্রী।
কাওসার বলেন, ট্রেনটি মন্দভাগ রেলস্টেশনে এলাকায় আসা মাত্র সজোরে ধা'ক্কা খায়। তখন ভেবেছিলাম, কেউ বো'মা মেরেছে! মনে হয়েছিল ট্রেনটি ১০ হাত ওপরে উঠে গিয়ে নিচে পড়েছে। আমার শরীর ওপরে উঠে গিয়ে নিচে আসনের ওপর আছড়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, উ'দ্ধা'রকারীরা আসার পর আমার পাশে পড়ে থাকা তিন বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ তাদের হাতে তুলে দিই। পরে আমাকে উদ্ধার করা হয়। তখনই আমি জ্ঞান হারাই।
কাওসার জানান, চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে গতকাল সোমবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তিনি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনের ‘জ’ বগির ৫০ নম্বর আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দু'র্ঘ'টনার পর হাসপাতালে ১৩ জনকে আনা হয়। এর মধ্যে সাড়ে আট বছরের একটি মেয়ে শিশুকে মৃ'ত অবস্থায় আনা হয়। সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিল না। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি নয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সং'ঘ'র্ষে ১৬ জন নি'হ'ত হয়েছেন। আ'হ'ত হয়েছেন ৭৬ জন যাত্রী।