ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের নলকূপ স্থাপনের গর্ত থেকে তী'ব্র বেগে অবিরামভাবে গ্যাস, পানি ও বালু বের হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের দুটি সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার ভে'ঙে গেছে, উপড়ে গেছে বড় বড় দুটি গাছ। বালির নিচে অর্ধেক তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের একটি ভবন। ঘটনার তিনদিনে শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
প্রচ'ন্ড বেগে গ্যাস, বালু ও পানি নির্গত হবার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য ব'ন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দু'র্ঘট'না এড়ানোর জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এলাকাটির আশপাশে কোনো ধরনের আ'গুন না ধ'রানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌল্লা খান, বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন জানান, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেহেতু এটি গ্যাসের বিষয় তার জন্য আমাদেরকে সাব'ধান থাকতে হবে। বিড়ি-সিগারেটসহ যে কোনো আগু'ন লে'গে গেলে ভ'য়াব'হ ক্ষতি হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌল্লা খান বলেন, বাপেক্সের প্রকৌশলীসহ উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দুয়েক দিনের মধ্যে গ্যাস, পানি ও বালু প্রবাহিত ব'ন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মহি উদ্দিন জানিয়েছেন, গ্যাস ও পানির প্রবাহ ব'ন্ধ করার কোনো যন্ত্রপাতি তাদের কাছে নেই। তারা শুধু গ্যাস উ'ত্তোলন করতে পারেন। বিষয়টি দেখবে বাপেক্স বা পেট্রোবাংলা।
বাপেক্সের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেহেতু নলকূপ স্থাপন করতে ৫৪০ ফুট গভীর করা হয়েছে। ওই ৫৪০ ফুট এলাকার গ্যাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস বের হতে থাকবে। তারপরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন রোববারের মধ্যে পেয়ে গেলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।