নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): আগের দিন বাবার লাৎশ দাফন করে পর দিন সকালে কাঁ'দতে কাঁ'দতে পরীক্ষার হলে এসেছিল ছেলেটি। আজ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, ছোটখাটো গড়নের সেই ছেলেটি জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়ে সবাইকে রীতিমত তা'ক লাগিয়ে দিয়েছে। ছেলেটির নাম আমীরুল ইসলাম। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক খোরশেদ আলম পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন গত ২ ফেব্রুয়ারি তার একমাত্র পুত্র সন্তান আমীরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসন (সিট) খুঁ'জতে আসেন। ওই সময় স্কুলে প্রবেশের সময় বিদ্যালয়ের তোরণটি আকস্মিকভাবে খোরশেদ মিয়ার ওপর ভে'ঙে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মা'রা যান। এরপর বাবার লা'শ দা'ফন করে পর দিন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় আমীরুল।
সলিমগঞ্জ এআরএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, 'বাবার মৃ'ত্যুর এমন শো'ক নিয়ে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে আমীরুল প্রমাণ করেছে সে সত্যিই অদম্য মেধাবী। তার এমন ফলাফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ গোটা এলাকাবাসী এখন খুশি।'
আমীরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানায়, 'বাবার এমন অপ্রত্যাশিত আকস্মি'ক মৃ'ত্যুর পর আমি মনোবল হা'রাইনি। আমার শিক্ষক মন্ডলি ও বোনদের (চার বোন) কল্যাণেই আজ আমি রেজাল্ট এতটা ভালো করতে পেরেছি।'
আমীরুল জানায়, সবার সহযোগিতা ও দোয়া পেলে ভবিষ্যতে আমি ডাক্তার হয়ে এলাকার অবহেলিত গরিবদের চিকিৎসায় নিজেকে নিয়োজিত করব।'
নবীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বলেন, 'আমীরুল ডাক্তার হতে গিয়ে যদি সে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা চায়, আমরা অবশ্যই তার পাশে থাকব।;