এমটি নিউজ ডেস্ক : একেবারে ধুমধামে বিয়ে শেষ শুক্রবার। পরদিন করা হলো বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। স্টেজে বসে আছেন বর-কনে। সবাই ব্যস্ত অনুষ্ঠানে। তবে এই অনুষ্ঠানে কোনো উপহার আনতে অতিথিদের নিষেধ করেছিল বরপক্ষ। কিন্তু এর মধ্যে এক অতিথি 'উপহার' নিয়ে আসেন পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল। উপহার আনায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও 'উপহারের তেল' গ্রহণ করেছে বরপক্ষ। ছবিও তুলে রেখেছে।
আর এমন ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নে। বর ওই ইউনিয়নের ভলাকূট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা আলম সোহাগ। তাঁর বিয়েতে তেল উপহার নিয়ে আসেন সাংবাদিক বদিউল আশরাফ মৃধা মুরাদ।
উপহারের তালিকায় নতুন নাম 'সয়াবিন তেল'। বিষয়টি এলাকায় জন্ম দিয়েছে আলোচনা। তবে এর মাধ্যমে মৌন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুরাদ।উপহারদাতা জানান, অতিরিক্ত হারে দাম বাড়ার মৌন প্রতিবাদের অংশ এটা। অন্যদিকে, গ্রহীতাদের পক্ষ জানানো হয়, কারো উপহার গ্রহণ করা না হলেও সয়াবিন তেলের বিষয়টি অন্যরকম হওয়ায় ‘না’ করতে পারেনি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোহাগ গত শুক্রবার নিজ এলাকাতেই বিয়ে করেন। শনিবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে পাঁচ লিটার তেল নিয়ে হাজির হন নাসিরনগরের সাংবাদিক বদিউল আশরাফ মৃধা মুরাদ। বিষয়টি সবার মধ্যে আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।
বদিউল আশরাফ মুরাদ বলেন, ‘বিয়েতে অনেকেই অনেক ধরনের উপহার দেন। ব্যতিক্রম কিছু দেওয়ার চিন্তা থেকেই পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে হাজির হই। সয়াবিন তেলসহ দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি এরই মৌন প্রতিবাদ বলা যেতে পারে এ ধরনের উপহার দেওয়া। বরপক্ষের লোকজনও সেটা গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া উপহারটি বেশ কাজেও লাগবে। তবে ওই বৌভাত অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের উপহার নেওয়ার বিষয়টি না করা ছিল, যা আমার জানা ছিল না। ’
বরের বড় ভাই লেখক ও সাংবাদিক সোহরাব শান্ত বলেন, ‘উপহার গ্রহণের জন্য টেবিল পেতে নাম লিখে রাখার যে প্রথা সেটা থেকে বেরোনোর উদ্যোগ নেই। যে কারণে অনেককেই বলা হয় যেন উপহার না নিয়ে আসেন। তবে সাংবাদিক মুরাদ সেটি জানতেন না। এ ছাড়া তিনি যে উপহারটি নিয়ে এসেছেন সেটি ব্যতিক্রম বিধায় রাখার পাশাপাশি ছবি তুলতে না করিনি। এটির মাধ্যমে জনগণের কাছেও সচেতনতার বার্তা পৌঁছাবে।