ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : দুই সন্তানকে হারিয়ে প্রতিবন্ধী ইসমাইল হোসেন এখন হতবিহবল। সন্তান হত্যাকারী স্ত্রী রিমা বেগমের ফাঁসি দাবি করেছেন তিনি। আর কোনো মা যেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না পান সে কারণে তিনি সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি। মূলত পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাধতেই রিমা তার দুই শিশুকে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটান।
গত ১০ মার্চ ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে মারা যায় মো. ইয়াছিন খান (৭) ও মো. মোরসালিন খান (৫)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন সুজন ও রিমা বেগম দম্পতির দুই সন্তান তারা। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে বিষ মেশানো মিষ্টি খাইয়ে দুই সন্তানকে হত্যা করেন মা রিমা বেগম। পুলিশ রিমা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর রহস্যের উন্মোচন হয়। গত ১৭ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিমা।
প্রতিবন্ধী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাইরে থেইক্কা কেউ আইলেঅই হেই (স্ত্রী) কানতো, ডং করতো। অহন উচিত শিক্কা অইছে। আমি হেইর ফাঁসি চাই। আর কোনো মা জাতে সন্তান মারনের সাহস না দেহাইতারে।’ তিনি আরো জানান, রিমা বেগম যে চালকলে কাজ করতেন সেখানকার সর্দার শফিউল্লাহর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। রিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় শফিউল্লাহ। তবে প্রস্তাব দেয় যে দুই সন্তানকে ছাড়া আসতে হবে। এ অবস্থায় দুই সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
ইসমাইল বলেন, ‘মিষ্টি খাওয়ানের পর আমার আম্মারে কইছে জ্বরের অসুদ আইন্না দিতো। পুলা দুইডার বুলে জ্বর উঠছে। হেই আগে তেইক্কাঅই প্লেন কইরা ইডা করছে। শফিউল্লাহ কইছে পথের কাটা দুই পুলা সরাইতারলে তুমি হইবা রাণী আমি হইবো রাজা। দোস জাইব গা নাপা সিরাপের উফরে দিয়া। ’