এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শখ পূরণে কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন বাবা। ১০ দিনের মাথায় ওই মোটরসাইকেলে চড়ে যাওয়ার সময় ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয় ছেলের।
সেই থেকে বাবাও কিছুটা অসুস্থ। অবশেষে ছেলের কবরে বেড়া দেওয়ার জন্য বাঁশ কাটার সময় অসুস্থ হয়ে বাবাও চলে গেলেন পরপারে।
মর্মান্তিক এ ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। শুক্রবার সকালে মারা যান তাঁর বাবা সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া। চার দিনের ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে পরিবারে বইছে শোকের ছায়া।
শাহাদাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় বড় বোনের বাসায় থাকতেন শাহাদাৎ। সাদেকুর রহমান পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করতেন। সাদেকুর রহমানের তিন সন্তানের মধ্যে শাহাদাৎ ছিলো সবার ছোট।
শাহাদাতের বড় ভাই থাকেন সৌদি আরব। ছেলের শখ পূরণে দুর্ঘটনার ১০দিন আগে মোটর সাইকেল কিনে দেন সাদেকুর রহমান। আখাউড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে ভাদুঘর এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে এর সঙ্গে ধাক্কায় মারা যায় শাহাদাৎ।
সাদেকুর রহমানের চাচাতো ভাই আবু সাঈদ ভূঁইয়া জানান, ছেলের কবরে বেড়া দেওয়ার জন্য বাঁশ কাটতে যান সাদেক আলী। এ সময় তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে পরিবারের লোকজন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. রাসেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছেলের মৃত্যুর চারদিন পর বাবার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাদেকুর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছে।