নিউজ ডেস্ক : কে এই মুরাদ? অনেকে বলেন মেজর মুরাদ ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে ওমর। প্রশ্ন ওঠে তিনি কী সেনাবাহিনীর সাবেক কোনও সদস্য? নাকি জেএমবির সামরিক শাখার ছদ্মবেশী মেজর তিনি? কিন্তু শনিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মুরাদ নামে কোনও মেজর নেই।
সামরিক গোয়েন্দারা বলেন, প্রশিক্ষকদের জঙ্গিরা ‘মেজর’ বলে সম্বোধন করেন। এ কারণেই হয়তো সবাই তাকে সেনাবাহিনীর সদস্য বলে মনে করেছেন। অন্যদিকে গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে উল্লেখ করেছিলো, মুরাদ সেনাবাহিনীরই সদস্য ছিল এবং সেখান থেকে সে অবসর গ্রহণ করে।
মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদের বয়স বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, নব্য জেএমবিতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় মুরাদকে মেজর মুরাদ নামে ডাকা হতো। আর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই থেকেও জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীতে মুরাদ নামে কোনও মেজর নেই।
ছানোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রূপনগরের যে বাড়িতে কথিত মেজর মুরাদ নিহত হয়, সেটি পাঁচতলা। ওপরের তলায় স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতো সে। গত ১ জুলাই সে ওই বাসায় ওঠে। এরপর ২৮ তারিখে পরিবার নিয়ে চলে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিশনাল কমিশনার দিদার আহমেদ জানান, ওই বাড়িতে একাধিক চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার ওই বাড়িতে মুরাদের নিয়মিত যাতায়াত করতো বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল।
দিদার আহমেদ আরও জানান, এ পর্যন্ত মুরাদের তিনটি নাম পাওয়া গেছে- মুরাদ, ওমর ও জাহাঙ্গীর। মুরাদ যে বাসাটিতে থাকতো সেটির বর্ণনা দিতে গিয়ে দিদার আহমেদ জানান, দুইটি বেড রুম, ড্রয়িং রুম ও ডাইনিং রুম রয়েছে। বাসার ভেতরে খাট ও ডাইনিং টেবিল ছাড়াও আছে দামি সোফাসেট।
এর আগে ছানোয়ার হোসেন জানান, পাইকপাড়ার অভিযানের পরদিনই রূপনগরে অভিযান চালানো হয়। তবে তার আগেই সে পালিয়ে যায়। শুক্রবার মুরাদ ঘরের মালপত্র নিতে আসে। এ সময় বাড়িওয়ালা খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে মৃত্যু হয় মুরাদের। আহত হন চার পুলিশ কর্মকর্তা।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি