ঢাকা : রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বিরোধের জেরেই যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান বাবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যপারেও পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। অপর দিকে এ হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী আহসানুল হক ইমন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ইমনের ডান উড়ু ও পাঁজরের গুলি অপারেশন করে বের করা হয়ছে। তার মাথায় কাটা জখমের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থায়ও আশঙ্কমুক্ত নয়।
মতিঝিল থানার পরির্দশক গোলাম রব্বানী জানান, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবু ও ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিলে রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় বিকাল পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাত ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে (বাবু) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর অ্যাপোলো হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার বিকালে বাবুকে আজিমপুর কবরস্থানের দাফন করা হয়েছে।
বাবুর কাছের আত্মীয় রায়হান জানান, বাবু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরিবার লোকজন ধারণা করছেন রাজনৈতিক দলীয় কোন্দলের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যপারে পরিবারের লোকজন কিছুই ধারণা করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনির ১৯ নম্বর বিল্ডিং এর সামনে ক্লাবের পাশে দুর্বৃত্তরা ইমন ও বাবুকে গুলি করে। - ইত্তেফাক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি