বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:৩২:১৮

বাবা খাইয়ে দিলেন নার্গিসকে

বাবা খাইয়ে দিলেন নার্গিসকে

নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটনায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে বুধবার রাতে ১১টার দিকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেবিনে নেওয়ার পর থেকেই স্বজনদের সংস্পর্শে রয়েছেন নার্গিস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নার্গিসকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাবা, মা ও ফুফু। সকালে বাবার হাতে সামান্যও খাবারও খেয়েছেন তিনি। নার্গিস গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া বলেন, ‘সকালে আমি আর আমার স্ত্রী হাসপাতালের কেবিনে ছিলাম। আমার স্ত্রী সিলেট চলে গেছেন। এখন আমি আর আমার বোন খাদিজার সঙ্গে আছি। সকালে কেবিনে এসে তাকে পুডিং, আপেলের জুস, ডিম খাইয়েছিলাম। তখন সে স্বাভাবিক ছিল।’
তিনি আরও জানান, তবে দুপুরে আবার খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও সে মুখ খোলেনি। খাদিজা আগের চেয়ে বেশ স্বাভাবিক আচরণ করছে। বিছানা থেকে তাকে হুইলচেয়ারে বসানো হয়। অল্প কথা বলে। তবে মাঝে মাঝে কাউকেই চিনতে পারে না, অসংলগ্ন কথা বলে।

এদিকে, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত নেন খাদিজাকে কেবিনে স্থানান্তর করার। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এ এম রেজাউস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের সঙ্গ পেলে শারীরিক ও মানসিক উন্নতি দ্রুত ঘটবে। এখন সে কথা বলছে, পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছে। অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করতে আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে উপর্যুপরি আঘাত করে বদরুল আলম নামে ছাত্রলীগের এক নেতা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এই বদরুল। ঘটনার পর হামলাকারী বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা করে জনতা। চাপাতির আঘাতে আহত খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ওই দিনই নার্গিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। সর্বশেষ গত সোমবার তার ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া ডান হাতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।-বাংলা ট্রিবিউন
২৭ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে