নিউজ ডেস্ক: গাবতলী সড়কের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। গাবতলীর রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ধরতে ১ মার্চ বুধবার সকালে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
সে সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করছে। সে সময় এক পরিবহন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া আট জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান দাবি করেন, এ সড়কে পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
জানা গেছে, পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পরিবহন শ্রমিকের নাম শাহ আলম। তিনি বৈশাখী পরিবহনের বাসচালক। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে রিকশাযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রমিকরা জানান, নিহত বাসচালকের পেটে ও বুকে শর্টগানের গুলি লেগেছে।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, যারা বাস চালাবেন না, ধর্মঘট করবেন, এটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু যেসব যান চলবে, সেগুলোতে কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারেন, এ জন্য তারা কাজ করছেন।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের র্যাকার ভ্যান ও গাবতলী টার্মিনালের পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। এ ছাড়া গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিউল ইসলাম (৪০) নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দু’দিন পরিবহন ধর্মঘট চলার পর সোমবার প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও পরে শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি বহাল রাখার কথা বলেন।
এর মধ্যে ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার ঢাকার আদালতে ট্রাকচালক মীর হোসেনের ফাঁসির রায় হলে ওই দিন রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে চলে যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিবহন ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ।
০১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস