নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য পছন্দ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রকাশ্যে না বললেও প্রধান বিচারপতির কাছে এ বিষয়ে বলেছি, এটা ঠিক হয়নি। যে ভাস্কর এটা করেছে তাকেও আমি বলেছি, গ্রিক থিমকে পরিবর্তন করার অর্থ কী হতে পারে? প্রধান বিচারপতিকে সেটাই বলেছিলাম, এই গ্রিক স্ট্যাচুকে আপনি শাড়ি পরাতে গেলেন কী জন্য? স্ট্যাচু আমাদের দেশে বহু আছে, থাকবে। কিন্তু হাইকোর্টের মতো একটি জায়গায় স্ট্যাচু করা হবে, এই স্ট্যাচুটা তো হাজার হাজার বছরের পুরনো, সব দেশে তো এটা নেই। তা হঠাৎ আমাদের এখানে এটা লাগাতে হবে কেন?’ মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টে যে স্ট্যাচু করা হয়েছে, এটি হচ্ছে গ্রিক গডেজ অব জাস্টিস। আর যেখানে স্থাপন করা হলো, তার পাশে ঈদগাহ। আমাদের ঈদের নামাজ হয়, ঠিক সেই ময়দানের সামনে এসে পড়ে এটি। এজন্য প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, এটিকে যেন আড়াল করে দেওয়া হয় অথবা সরিয়ে ফেলা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গ্রিক স্ট্যাচুকে শাড়ি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো। এটা যদি গ্রিক স্ট্যাচু হয়ে থাকে, তাহলে সেই গ্রিক স্ট্যাচু হিসেবে থাকবে। এটাকে শাড়ি পরিয়ে বিকৃত করা কেন? নিজে কত লম্বা, তার পাল্লাটা কত লম্বা! তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। একটা করে দিলো! মানে গ্রিককে এখন বাঙালি বানানো হলো। এ ধরনের স্ট্যাচু আমার নিজেরও পছন্দ নয় সেটা বলেছি।’
ভাস্কর্য সরানোর বিরোধিতাকারীদের জবাব দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটা সরাতে হবে কেন, এটি নিয়ে চিৎকার করা হচ্ছে। কিন্তু যারা এটা নিয়ে কথা বলছেন, তারা কি দেখতে পারছেন না, এই গ্রিক থিম আর এখন গ্রিক নেই। ওটা অর্ধগ্রিক, অর্ধবঙ্গ। ওটা বঙ্গগ্রিক হয়ে গেছে। এটা কি উনাদের চোখে পড়ে না? এটা তো উনাদের চোখে পড়া উচিত। যে কোনও থিম যখন থাকবে, তা বাস্তবভাবেই থাকা উচিত। আর এটা করার আগে প্রধান বিচারপতির আলোচনা করা উচিত ছিল। কোথায় এটা বসবে সেটাও দেখা উচিত ছিল। যেখানে ঈদের নামাজ হয়, সেখানে এটা করা হয়েছে। অনেকের কাছে তো এটা ভালো লাগবে না। নামাজের সময় ওটা চোখের সামনে পড়বে।’
২৫ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস