মঙ্গলবার, ০৯ মে, ২০১৭, ১০:২৩:১৭

খালেদা জিয়ার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন

খালেদা জিয়ার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহে ২৭ বছর আগের হারুন-অর-রশীদ হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফটোগ্রাফার নূর উদ্দিন আহম্মদসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

নূর উদ্দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর ভাই।

মঙ্গলবার ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম হারুন হত্যা মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।

নূর উদ্দিন ছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফুল হক, ওমর ফারুক, মো. লিংকন, মো. জালাল, সৈয়দ শামিম হোসেন, রহিম আহম্মদ, শামছুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরফানুর রহমান খান, সোলায়মান, জাহিদ, সাফায়াত উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রশিদ, গোলাম রব, শিশির চৌধুরী, অ্যাপোলো হোসেন, আসলাম, ইলিয়াস হোসেন, হিরু মোহাম্মদ, লিয়াকত আলী, কাঞ্চন মিয়া, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিছুর রহমান ও আবু তাহের।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নূর উদ্দিন আহম্মদ, আশরাফুল হক ও আবদুর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর (অব.) বজলুল হুদা, মেজর (অব.) জয়নাল ও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল মোড়ে একটি চায়ের দোকানে থামেন।

চা খাওয়ার সময় ভিড় হলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীরা লোকজনের ওপর গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলে আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার সময় হারুন নামের এক যুবক মারা যান।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন পথচারী জহুর আলী, মাহবুবুল রামচন্দ্র, শামীম ও লিটন।

ঘটনা ঘটিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকার উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকায় ফ্রিডম পার্টির ৩০ নেতাকর্মী আটক হন।

ঘটনার পরদিন কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন জামাই মোশাররফ হোসেন বাবুল। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।

১৯৯০ সালের ১১ অক্টোবর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। এ আদালতেই প্রায় ১৯ বছর মামলাটির বিচারকাজ চলে। বিচারকালে মামলার তদন্তে ত্রুটি থাকায় মামলাটি পুনরায় তদন্তও করা হয়।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে