বুধবার, ০৭ জুন, ২০১৭, ০৯:২৪:১৭

আল্লামা আহমদ শফী এখন আশঙ্কামুক্ত

আল্লামা আহমদ শফী এখন আশঙ্কামুক্ত

নিউজ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী এখন আশঙ্কামুক্ত। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘হুজুরের অবস্থা এখন অনেকটা ভালোর দিকে। ডাক্তারা তার সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তারা বলেছেন গুরুতর কিছু না। তারা আশা করছেন মোটামুটি কয়েকদিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। হুজুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।’

পুরনো ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে।

শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে।বর্তমানে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সরওয়ারে আলম এবং নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নূরুল হুদার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগরীর সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে গত ১৮ মে প্রাইভেট হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোফরানুল হক, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামান এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইবরাহীম চৌধুরী’র তত্ত্বাবধানে হেফাজত আমীরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সিএসসিআর হাসপাতালে হেফাজত আমিরের রক্তচাপ বার বার কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুসে পানি দেখা যাওয়ায় ২১ মে থেকে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তার শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক ও ফুসফুসের পানি সরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক হচ্ছিল না।

গত ১ জুন হেফাজত আমিরকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে আনার তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ও ফের ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। ফলে তাকে আবারো তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপরই আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আল্লামা শফীকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মুখে খাবার নিতে পারছেন না। তাকে রাইস টিউবের মাধ্যমে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে