মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭, ০৩:৪২:২৮

এসপির অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকা!

 এসপির অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকা!

নিউজ ডেস্ক: অর্থ পাচারের দায়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীণা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, ওই এসপি ও তার স্ত্রীর ব্যাংকে স্থায়ী আমানত বা এফডিআর হিসাবে আট কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার হদিস মিলেছে। যা তারা সম্পদ বিবরণী বা আয়কর নথিতে উপস্থাপন না করে গোপন রেখেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বংশাল থানায় এ মামলা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় মামলাটি করেন। যার নম্বর ৩৭।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরী যৌথ নামে ১৯টি এফডিআর হিসাবে আট কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকা রেখেছিলেন। যা ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখা, এলিফ্যান্ট রোড শাখা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখাতে গচ্ছিত ছিল। কিন্তু পুলিশ সুপার ওই অর্থ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী কিংবা আয়কর নথি উপস্থাপন না করে গোপন রেখেছেন।

এমনকি দুদকের অনুসন্ধানেও ওই আয়ের যথাযথ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। গচ্ছিত টাকার মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখার ছয়টি এফডিআরে দুই কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ টাকা, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ টাকা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখাতে ১২টি এফডিআরে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা পাওয়া যায়।

এদিকে ফরিদপুরের (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানিয়েছেন, গত ২২ তারিখে তাকে (সুভাষ সাহা) ঢাকায় পুলিশ সদরদফতরে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি ওই দিনই ফরিদপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি গত ৫ নভেম্বর ফরিদপুরের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে পিপিএম পদক গ্রহণ করেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে