নিউজ ডেস্ক: আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন আমার বাবা এক বাসায় কাজ করতে রেখে যায়। ঐ বাসায় যখন সাহেব-ম্যাডাম বাসার বাহিরে চলে যেত তখনই ছেলে জোর করে আমার সঙ্গে যৌন কর্ম করত। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। আবার যখন সাহেব একা বাসায় থাকত তখন তিনিও আমাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তার রুমে যৌনকর্ম করতে বাধ্য করত। আমি এসব বিষয়ে ম্যাডামকে কিছুই বলতে সাহস পেতাম না, কারণ উনিও আমাকে অনেক নির্যাতন করত। কথাগুলো একজন ভাসমান যৌনকর্মী রিমি আখতারের।
রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় বসবাস করেন তিনি।
বাপ-ছেলের যৌন লালসার শিকার হয়ে অবশেষে পেশা হেসেবেই বেছে নেন এই কর্মকে। বলেন, বাপ-ছেলে দুজনের সাথে এক কাজ করতে আমার খারাপ লাগতো। পরে ভেবে দেখলাম বাপ-ছেলের সঙ্গেই যদি এই কাজ করতে পারি, তাহলে পেশা হিসেবে নিতে আর দোষ কী? তাই এ পথে নেমে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ আমাদের খারাপ বলে জানে। আসলে আমাদেরকে এ পথে কারা আনতে বাধ্য করে? কাদের কারণে আমরা এ পথ বেছে নিয়েছি এটি কেউ জানতে চায় না। আমরা অসহায়, চাইলেও এ পথ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি না।
রিমির সাথে থাকা আরেক যৌন কর্মী বলেন, আমার স্বামী নির্যাতন করত, খাবার দিতনা বাসায় বন্দী করে রাখত। একবার ইট দিয়ে মেরে আমার দুই পা থেঁতলে দিয়েছিল। তাই আমি দুটি সন্তান নিয়ে চলে আসি। আমার সন্তানদের মানুষ করতে এ পথ বেছে নিয়েছি।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার শিশু ও নারী স্বামীর হাতে অথবা বাসা বাড়িতে কাজ করতে এসে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে এদের অধিকাংশই যৌনকর্মী অথবা মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে।