নিউজ ডেস্ক: আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ফেনী-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। তবে যে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে তা হলো, তার পারিবারিক পরিচয়।
শনিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচনী অফিস থেকে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ২০১৪ সালে অবসরে যান। তার চকরি জীবন নিয়ে রয়েছে নানা মুখরোচক গল্প।২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ওয়ান-ইলেভেনের পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি সাভারের নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন।
সে বছরই লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করার অভিযানের জন্য গঠন করা ‘গুরুতর অপরাধ দমন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক নিযুক্ত করা হয় জেনারেল মাসুদকে। প্রায় বছরখানেক অভিযান চালানো হয় মাসুদের নেতৃত্বে।
পরে নানান ঘটনাপ্রবাহে তাকে সাইডলাইনে পাঠায় তখনকার সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের সঙ্গেও তার সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়। তাই ভায়রা ভাই মেজর সাঈদ এস্কান্দরের মৃত্যুর সময়ও তিনি ঢাকায় আসেননি। ২০০৮ সালের ২ জুন তৎকালীন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার পদ থেকে ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট পদে তাকে বদলি করা হয়। এর মাত্র ছয় দিন পর ৮ জুন তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হয়। পরে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তাকে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়। নভেম্বরে তিনি ঢাকা ছেড়ে যান।
এরপর ২০১১ সালের ২৯ জুন লে. জে. মাসুদ উদ্দিনের সেনাবাহিনীর চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ার পর প্রথমে তিন মাস করে দু’বার এবং পরে এক বছর করে আরও দুই দফায় চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান।