নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর মহাখালী টার্মিনাল থেকে খেয়া পরিবহনের একটি বাসে ওঠে অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখতে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে যাচ্ছিলেন রঙমিস্ত্রি হারুন। বাসটি বনানীর বিমানবন্দর সড়কে যাওয়ার পর হারুন বলেছিলেন, ‘ভাই, আমি ইফতার করব। বাসটি একটু থামান।’
কিন্তু এরপরও চালক বাসটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ততক্ষণে ২৫ বছর বয়সী হারুন নেমে বাসের সিট ছেড়ে দরজা পর্যন্ত চলে যান। তখন হেলপার চলন্ত গাড়ি থেকেই তাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। এরপর সেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন তিনি।
গত ১১ মে শনিবার ওই ঘটনার পর পুলিশ চালক বাহাদুর আলীকে গ্রেফতার করলে বাসচাপায় যাত্রীকে মেরে ফেলার এমন নিষ্ঠুর ঘটনা জানা যায়। এরপর গতকাল রবিবার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় একজন মারা যাওয়ার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, চলন্ত বাস থেকে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর সেই বাসটিই তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের খবর দেয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রানী বেগম বনানী থানায় চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে বনানী থানার এসআই রাজিবুল হাসান বলেন, ‘আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারেন, বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে যাত্রী হারুনকে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে তিনি খিলক্ষেত এলাকা থেকে বাসটি চালকসহ আটক করেন। এরপর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা বেরিয়ে আসে।’
এ সময় পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চালক জানিয়েছে ইফতার করার জন্য হারুন বাসটি থামানোর অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বাসটি একটু থামাতেই হেলপার আলম তাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। এতে চাকার নিচে পড়ে যান ওই যাত্রী। হেলপার পলাতক থাকায় তার অবস্থান শনাক্তে চালককে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’