নিউজ ডেস্ক : ক্যাসিনো ক্লাবের সন্ধানে বুধবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, শাহজাহানপুরের মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ মা'দক ও অর্থ। তিনটি ক্লাব থেকে অন্তত ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণীও রয়েছেন। তবে অন্যান্য ক্যাসিনোর চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের ক্যাসিনোটা একটু ব্যতিক্রম। যেখান থেকে বেরিয়ে আসে আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ক্যাসিনোর বিষয়ে র্যাবের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেমন যেন গা ছমছম পরিবেশ। সাজসজ্জা দেখলে মনে হয় কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি এই ক্যাসিনোটা নিয়ন্ত্রণ করেন।
তবে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। গেইটে লেখা ‘রেস্ট্রিকটেড এরিয়া’ (সংরক্ষিত এলাকা)। ভেতরে উঁকি মারতেই দেখা গেল, এক কোণায় এক টুকরা সাপের মাথা ও কষ্টিপাথর।
এক জুয়াড়ির বরাত দিয়ে র্যাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিন আয়োজন করে সাপের মাথায় কষ্টিপাথর ছুঁয়েই জু'য়া খেলা শুরু হতো। জু'য়াড়িদের আকৃষ্ট করতে ও হারজিত নির্ধারণে নাকি এসব কাজে দেয় বলে ক্যাসিনো গুজব রয়েছে।
একটু সামনে এগিয়ে যেতেই একটি ভিআইপি কক্ষ। কক্ষের ভেতর বড় চেয়ারটিতে বাঘের মাথার ছবির একটি তোয়ালে দেয়া। একটু কাছে যেতেই দেখা গেল তার ওপর হরিণের চামড়ার টুকরো বিছানো। র্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু র্যাব সদস্যরা ক্লাবের আশপাশে তন্নতন্ন করে খুঁজে তাদের আটক করেন। ক্যাসিনোটি সিলগালাসহ এখান থেকে আটক ৪০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে মা'দক, নগদ অর্থ, কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ক্যাসিনো সামগ্রী।