নিউজ ডেস্ক : দৌঁড়ে চলন্ত বাসে উঠে অ'পহর'ণকারীকে পাকড়াও করে মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিলেন রাজধানীর দক্ষিণ ট্রাফিক জোনের একজন কর্মকর্তা। ঐ কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলাম। উদ্ধারকৃত শিশুর নাম আকাশ (৭)। আটক অ'পহর'ণকারী দেলোয়ার (২৮) কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগেও ২০১৫ রফিকুল ইসলাম একটি অ'পহ'রণকারী দলকে আটক করে খবরের শিরোনাম হন। রফিকুল তখন বাসাবো এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে এক নারী এসে কা'ন্নাকা'টি করছিলেন। বলছিলেন তারা বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় ট্রাফিক ইনপেক্টর রফিকুল ইসলামের। তিনি ওই নারীর সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে বংশালে তার বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কেনাকাটার সময় তার বাচ্চাকে কেউ একজন নিয়ে পালিয়ে যায়।
বংশাল থেকে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসেন। ট্রাফিক ইনপেক্টর রফিকুলের সাথে কথা বলার সময় অ'পহ'র'ণকারীকে বাচ্চাসহ একটি বাসে উঠতে দেখা যায়। বাস ছেড়ে দিয়েছে। ওই নারী নিজের বাচ্চাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে রফিকুল দৌঁড়ে চলন্ত বাসে লাফিয়ে ওঠে অ'পহর'ণকারীকে পাকড়াও করেন। এওপর ওই বাচ্চাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে অ'পহর'ণকারীকে বংশাল থানায় সোপর্দ করা হয়।
রফিক বলেন, 'আমি দায়িত্ব পালন করছিলাম। ওই নারী যখন কা'ন্নাকা'টি করছিলেন তখন আমরা তৎপর হয়ে উঠি। এরপরেই একটি ছেড়ে দেওয়া বাসে অ'পহ'রণ'কারী ও তার ছেলেকে দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। আমি দৌঁড়ে গিয়ে বাসে উঠে অ'পরণকা'রীকে আটক করি। এটা আমার দায়িত্বের একটা অংশ।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক প্রতাপ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের এখানে দেলোয়ার নামে একজনকে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অ'পহ'রণ মামলা হয়েছে।