নিউজ ডেস্ক : নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করা মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তার নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সিরাজুল দীর্ঘ দিন ধরে মুস্তাকের সহযোগী হিসেবে টেলিগ্রাম ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সিরাজুলকে রমনা থানায় করা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত আগস্টে কথিত সেই ইমাম মাহাদীর বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান নামে এক সৌদি প্রবাসী নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করে আসছিল। সিরাজুল তার বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে সেই কথিত ইমাম মাহাদীর কাছে বায়াত গ্রহণ করে। এরপর থেকে সে কথিত সেই ইমাম মাহাদীর বাণী প্রচারের মাধ্যমে তাদের অনুসারী সংগ্রহ শুরু করে। ইমাম মাহাদীর পরিচয় ধারণ করে এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের ফলে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
সিটিটিসি জানায়, সম্প্রতি কথিত এই ইমাম মাহাদীর বায়াত গ্রহণের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার সময় ১৯ জনকে তারা আটক করেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র ওমরাহ করার নামে সৌদি গিয়ে কথিত সেই ইমাম মাহাদীর সঙ্গে জিহাদে যোগ দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সিরাজুলও একাধিকবার সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের অপর সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।