নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় আটক সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম মদ পানের পর রাতে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতো। এসময় তার সঙ্গে থাকতো তিন লাখ টাকায় কেনা দুটি বিদেশি কুকুর ও আট থেকে দশজন দেহরক্ষী।
এতদিন ইরফানের ভয়ে ভীত থাকলেও তার বাসায় র্যাবের অভিযানের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। চকবাজার বড় কাটরার স্থানীয় দুই বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম রাতে মদপান করতো। তিন লাখ টাকায় কেনা দুটি বিদেশি কুকুর নিয়ে প্রায় সময় রাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতো। সেসময় তার সঙ্গে থাকতো দেহরক্ষীরা। কাউন্সিলরকে রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় দেখার পর কারো কিছু বলার সাহস ছিল না।'
তারা আরো জানান, ইরফান বিদেশে লেখাপড়া করেছে। তার কালচারটা বিদেশি বিদেশি ছিল। এজন্য রাত হলেই সে মদের মধ্যে থাকতো। মদ্যপ অবস্থায় বিদেশি কুকুর নিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতো।
রবিবার রাতে (২৫ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলের ঘষা লাগায় তাকে বেধড়ক মারধর করেছেন গাড়িতে থাকা কয়েকজন। মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম আহত হন।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের অবস্থান শনাক্ত করে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। পরে র্যাব ইরফান ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।-কালের কণ্ঠ