ঢাকা : ৬ দিন আগে ছাত্রলীগের সিনিয়র দুই নেত্রীর বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের এজিএস ও ছাত্রলীগের হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী। ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হ্য়। সেই থেকে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি।
শক্ত খাবার খেতে পারছেন না। কিন্তু এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তন্বী। এদিকে ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি মেলেনি আশ্বাসও।
২১ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি ও শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শান্তা রোকেয়া হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বীকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তাকে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তন্বীর অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শনিবার তিনি বলেন, হঠাৎ ডাক্তার এসে আমাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করে রিলিজ দেয়ার কথা বলেন। ডাক্তারের এমন কথায় বিস্মিত হয়ে তন্বী বলেন, কীভাবে একজন ডাক্তার আমার সাথে কথা না বলে ছাড়পত্র দেয়ার কথা বলেন? এখানে অবশ্যই কেউ না কেউ হাসপাতাল থেকে আমাকে বের করে দিতে প্রেসার দিচ্ছে। আমি এখনো শক্ত খাবার খেতে পারছি না। সারাক্ষণ স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হচ্ছে বলেও জানান রোকেয়া হলের এই এজিএস।
তিনি আরও বলেন, আমি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিচার পাওয়ার আশা করছিলাম। নেতারা আমাকে তিনদিন পর গতকাল দেখে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নি। এতে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। এখন মামলা করা ছাড়া আমার আর কোনো পথ নেই।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানিয়েছি। যদি তারা ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সামনে আমরা বিচারের ব্যাপারে কঠোর হবো।