নিউজ ডেস্ক: রোজা থেকে খাবার নিয়ে চারতলায় না উঠায় সাভারে আব্দুল লতিফ নামের ফুডপান্ডার এক রাইডারকে মারধর করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। ঘটনাটির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল লিতফ।
এর আগে, বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে সাভার পৌরসভার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় পাশের ভবনে থাকা এক ব্যক্তি ভিডিওটি করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছাড়ালে ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মারধর করা সেই ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান সুজন। তার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকস এর দোকান রয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সাইকেল নিয়ে ফুডপান্ডার রাইডার লতিফ দাড়িয়ে আছে। সুজন নামের সেই ব্যক্তি গালিগালাজ করছে। একপর্যায়ে মারধর শুরু করেছে। প্রথমে কয়েকটি থাপ্পড় মারার পর একটি নারী এসে লতিফকে বাচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরেক্ষনে কথায় কথায় আবার মারধর শুরু করে৷ পরে সুজনের সাথে থাকা আরেক ব্যক্তি লতিফকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়৷
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লতিফের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, গতকাল প্রথম রোজার দিন সুজন নামের এক ব্যক্তি খাবারের ওয়াডার দিয়েছে। আমি খাবার নিয়ে গিয়েছি। তিনি চারতলা যেতে বলেছিলেন আমি রোজা ছিলাম তাই যেতে চাইনি। পরে সে এসে নানা গালিগালাজ করে আমাকে মারধর করে। আমার এই বিষয়টি ফুডপান্ডা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে সাইদুর রহমান সুজন বলেন, আমি কাল ৫.১৫ মিনিটের দিকে খাবারের ওয়াডার দেই। একটি হালিমের ওয়াডার দিয়েছিলাম। উনি আমার ভবনের সামনে এসে ফোন করে। আমি তখন বলি ভাই আমি একটু অসুস্থ আপনি খাবারটা একটু চারতলায় এসে দিয়ে যান। আমার পায়ে একটু অসুবিধা আছে আমাকে একটু দিয়ে গেলে উপকার হবে। পরে সে বলে দেওয়া যাবে না। পরে আমি তাকে বলি কোনো ভাবে কি ওয়াডার ক্যান্সেল করে দেওয়া যায় কিনা। তখন তিনি আমাকে বাজে ভাবে বকা দেয়। আমার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি নিচে নেমে তাকে সরি বলতে বলি সে বলেনি। এর জন্য রাগ হয় আমার। এই হলো ঘটনা। আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তি রয়েছি। তবে এমপি সাহেবের পিএস না।
আপনি কোনো সংগঠন করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কৌশলে ফোন কেটে দেন। ফুডপান্ডার সাভার জোনের এক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ করার না শর্তে বলেন, আসলে বিষয়টি আমাদের হেড অফিসকে জানানো হয়েছে। আমরা এখনো সাভার জোন থেকে কেনো আইনি কার্যক্রমে যাইনি। হেড অফিস যা করবে তাই হবে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনার কাছে জানতে পারলাম। আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।