অবশেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরে শিক্ষার্থীরা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি আনন্দিত শিক্ষকরাও। প্রিয় ছেলে-মেয়েদের বরণ করে নিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। তাদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্যানিটাইজার, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পথে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে দেওয়া হয়েছে চিহ্ন।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিদ্যালয়টির শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে পাইনি। অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। এতদিন পর দেখা- শিক্ষার্থীরা যেমন খুশি, আমাদেরও অনেক আনন্দ লাগছে।
এ সময় উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ পঞ্চম, ষষ্ঠ, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা তাবাসসুম বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। যদিও আমাদের তিন ঘণ্টার ক্লাস, তারপরও এই সময়ে বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করতে পারবো, শিক্ষকদের সাথে দেখা হচ্ছে- ভেবেই ভালো লাগছে।
এ সময় দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহিন বর্মন তমা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধের খবর আমরা নিয়মিত পড়েছি, এতো দ্রুত ক্লাসে ফিরতে পারবো এটা ভাবতে পারিনি। কলেজের লাইফটা মিসই হয়ে যাচ্ছিল, অল্প সময়ের জন্য হলেও সেটি আবার উপভোগ করতে পারবো -এটার জন্য ভালো লাগছে।
এদিকে স্কুল খোলায় খুশি হলেও একসাথে বসতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহমিদার। ফাহমিদা বলছে, আগে তারা প্রতিদিন একই বেঞ্চে কয়েকজন বসতে পারতো। কিন্তু এবার সবাইকে আলাদা আলাদা বসতে হচ্ছে, তাই তার খারাপ লাগছে।
আজ ক্লাসের শুরুতে স্কুল প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। জাতীয় সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ।