অনলাইনে চলছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা। সহপাঠীদের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন রাজীব মোহাম্মদ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধঘণ্টা পর জানলেন তার মা আর নেই।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন মর্মান্তিক অবস্থার মুখোমুখি হন ঢাবির এ শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলায়।
রাজিবের সহপাঠী শরিফ মিয়া বলেন, আমরা সবাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। দশটার কিছু আগে সে লিভ নেয়। পরে আমরা জানতে পারি মা মারা গেছেন। আসলে এটা কঠিন পরিস্থিতি। অথচ আজকে আমাদের আনন্দ করার কথা। আমরা সবাই শোকাহত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজিবের আরেক সহপাঠী আল আমিন সরকার লিখেছেন, অনলাইন পরীক্ষা চলছিল। প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায় একটা কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু রাজিবের চোখে পানি। বলছে, ম্যাম, ম্যাম..., আমি কি লিভ নিতে পারি? আমার মায়ের কী যেন হয়েছে! এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি পেলো সে। এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আমরা পরীক্ষা শেষ করে কেবলই একটা ফুরফুরে মেজাজে হাসিখুশিতে মেতে উঠছিলাম আর বন্ধুর জীবনে কত বড় পরীক্ষা হয়ে গেল!
ওই শিক্ষার্থীর মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নেহরীন খান বলেন, অনলাইন পরীক্ষার ভেতর সে বলে যে মায়ের কাছে যাবে। তারপর সে লিভ নিলো। পরীক্ষা শেষ হলে আমরা জানতে পারি তার মা মারা গেছেন।