ঢাকা : ঢাকার ধামরাইয়ে ডাকাতকে সঙ্গে করে ডাকাত সর্দারের মাদকের আস্তানায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা সাদা পোশাকে হানা দিয়েছেন।
এ সময় ডাকাত সন্দেহে তিন পুলিশকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। তবে ডাকাতসহ দুই ভুয়া সাংবাদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
খবর পেয়ে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রাকিব হোসেন মাদক আস্তানায় আটক ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা জিডিমূলে কিংবা সিনিয়র কোনো অফিসারদের না জানিয়েই তারা এ মাদক আস্তানায় হানা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- আশুলিয়া থানা এলাকায় কর্মরত এসবির এসআই মো. নুরুল হক, এএসআই মো. আমিনুর রহমান ও ধামরাই থানার এএসআই মো. রফিকুল ইসলাম রফিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুখ্যাত ডাকাত ও ডজনখানেক মামলার আসামি কালা মান্নান ওরফে মান্নান ডাকু ও দুই ভুয়া সাংবাদিকসহ আশুলিয়ার তিন পুলিশ কর্মকর্তা সাদা পোশাকে বাউখন্ড গ্রামের ডাকাত সর্দার মো. আলী ডাকুর মাদকের আস্তানায় হানা দেয়।
এ সময় মাদক সন্ত্রাসীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে মসজিদের মাইকে মুয়াজ্জিন এলাকায় ডাকাত পড়ার খবর প্রচার করে। এ ঘোষণা শুনে এলাকাবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে এসে তিন পুলিশ, মান্নান ডাকু ও দুই ভুয়া সাংবাদিককে চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে।
এলাকাবাসী ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে তাদের পরিধেয় পোশাক একদম ছিঁড়ে ফেলে।
খবর পেয়ে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. রাকিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসিনুল কাদির বলেন, মো. নুরুল ইসলাম এসবির এসআই। তিনি আশুলিয়া কর্মরত আছেন। ধামরাই থানা এলাকায় যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানাননি। তিনি তার নিজ দায়িত্বে গিয়েছেন।
ধামরাই থানার ওসি তদন্ত মো. আবু সাইয়িদ বলেন, ধামরাই থানার এএসআই মো. রফিকুল ইসলাম রফিক ও এসবির এএসআই মো. আমিনুর রহমান ও আশুলিয়া থানার এসবির এসআই মো. নুরুল ইসলাম জিডিমূলে থানা থেকে বের হননি।
তিনি বলেন, তারা তাদের নিজ দায়িত্বেই মাদক আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন। পরে তাদেরকে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. রাকিব হোসেন উদ্ধার করেন। - যুগান্তর
২৮ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি