এমটিনিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ধামরাইয়ে আজ সোমবার সকালের খাবার খেয়ে বালিয়া ডেইরি ফার্মের ১৬টি গরুর মধ্যে ১১টি গরু মারা গেছে। কী কারণে গরুগুলো মারা গেছে তা পরীক্ষার জন্য ঘাস, দানাদার খাবার, ভুসি ও কুড়ার নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। এসব নমুনা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান।
এতে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার জীবনের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে ফার্মের মালিক বালিয়া কাজীপাড়ার আসাদুজ্জামান খান জানান, তার ফার্মে ১৬টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুকে আজ সকাল সাতটার দিকে ফার্মের কেয়ারটেকার সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় একই ধরনের খাবার (দানাদার খাবার, ভূষি, কুড়া) দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে ৩টি ষাড়, ২টি বকনা ও ৬টি গর্ভবতী গাভী মারা যায়।
প্রতিটি গরুর গোবরের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। এতে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। তার ধারণা বিষক্রিয়াতে গরুগুলো মারা গেছে।
তিনি বলেন, 'আমার কোনো শত্রু নেই। এরপরও কী করে কী হলো বুঝে উঠতে পারছি না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মামলা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করব।'
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সেলিম জাহান বলেন, '১১টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোমেনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে গরুর খাবারের মধ্যে ঘাস, কুড়া, ভূষি, দানাদার খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, 'গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে নেপিয়ার ঘাসের মধ্যে নাইট্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত নাইট্রেটযুক্ত ঘাস খেয়ে গরুগুলো মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত ও নমুনাগুলো পরীক্ষা করলেই জানা যাবে কী কারণে মারা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।' এদিকে ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'সকালে গরুগুলোকে নেপিয়ার জাতীয় কোনো ঘাসই খাওয়ানো হয়নি।'