ঢাকা: ১০-১১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাইজভান্ডারী একাডেমীর উদ্যোগে ২ দিন ব্যাপী ৫ম জাতীয় সুফি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য জনাব প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সামীম মোহাম্মদ আফজাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্ব করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও সম্মেলনের কো- চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জনাব শাবান মাহমুদ, ট্রাষ্টের সচিব এ এন এম এ মোমিন, সুফিতাত্ত্বিক গবেষক ড.সেলিম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট লেখক ও ইসলামিক চিন্তাবিদ সূফি ফিরোজ আহমাদ চিশতি আল কাদেরী।
(ক্যাপশন: বক্তব্য রাখছেন- ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য জনাব প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক)
উক্ত সম্মেলনের ২দিনের একাডেমিক সেশনে ১২ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়; ১). বিশ্ব সংকট নিরসনে সূফিবাদের ভূমিকা- প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চৌধুরী। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২). তাসাউফের আলোকে জাতীয় কবি নজরুল- ড. সেলিম জাহাঙ্গীর। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. হাবীবুর রহমান, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। ৩). শাহ্ সুলতান রুমী (র.) ও নেত্রকোণায় ইসলাম- ড. আবু সালেহ সেকান্দার। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. এন এইচ এম আবু বকর, সভাপতি দর্শন বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ৪). দ্যা ইনফ্লুয়েন্স অব সূফিস ইন দ্যা সালতানাত এডমিনিষ্ট্রেশন অব বেঙ্গল- মোহাম্মদ আনিসূর রহমান। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. এ এস এম আনোয়ার উল্লাহ ভূইয়া। ৫). যুব সমাজের মানবিক মূল্যবোধ জাগরণে সূফিবাদের ভূমিকা-ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর জাকির হোসেন, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়।৬). সূফিবাদের ক্রমবিকাশের ধারায় মাইজভান্ডারী ত্বরিকা- ড. সেলিম জাহাঙ্গীর। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়। ৭). সুফিবাদের রাজনৈতিক তাৎপর্য- অধ্যাপক জহুরুল আলম। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. কাউসার মোস্তফা আবুল উলায়ী, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮). সুফিবাদ ও অন্যান্য মরমী দর্শন: একটি তুলনামূলক আলোচনা, প্রফেসর ড. এম. শফিকুল আলম। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক, আরবী বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ৯).ইবাদত তথা ধর্মের দু’টি দিক: স্রষ্টার সাথে সর্ম্পক ও সামাজিক সর্ম্পক স্থাপনে ঐশি নিদের্শনা- ডা. এ এন এম এ মোমিন। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১০). প্রখ্যাত সুফিদের জীবনী ও শিক্ষা- ড. মো: নূরে আলম, সহকারী অধ্যাপক, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. এম. শফিকুল আলম। ১১). বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে সুফিবাদের ভূমিকা-মোস্তাক আহমাদ। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ড. একরাম হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১২). সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুফিতাত্ত্বিক গবেষক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর। প্রবন্ধের মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ড. মঞ্জুরুল মান্নান, সহযোগী অধ্যাপক, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
(ক্যাপশন: একাডেমী সেশনে বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চৌধুরী)
০২ দিন ব্যাপী সম্মেলনে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থানকারী সুফি সাধক, দেশ বরেণ্যে শিক্ষাবিদ, আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ, লেখক, সুফিতাত্ত্বিক গবেষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সূফিবাদ শান্তি ও সম্প্রীতির পথ। সূফিগণই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জাগরণ ঘটাতে পারে। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস মোকাবিলায় সূফিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি ইসলামের প্রচার প্রসার ও আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে মাইজভান্ডার একাডেমীর প্রশংসা করেন। উক্ত সম্মেলন মানুষের মধ্যে নতুন করে প্রেরণ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আদর্শ মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের উন্নয়নে অলি আউলিয়াদের জীবন অধ্যায় চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
সবশেষে মাইজভান্ডারী মরমী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী বৃন্দ মাজভান্ডারী কালাম পরিবেশন করেন।
১২ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস