আরিফুল ইসলাম আরিফ, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাসমারোহে বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তিনদিনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে সকাল সাতটায় উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ক্যাম্পাসবাসীর সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সকাল সাড়ে নয়টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র আয়োজিত ৩দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। মেলা উদ্বোধনকালে উপাচার্য তাঁর ভাষণে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। সকলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সর্বজনীনতার বহি:প্রকাশ ঘটে। উপাচার্য বিগত বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি ভুলে আগামী দিনে সাফল্য লাভের জন্য সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের।
গতকাল সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, অফিস, হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজ, মহিলা ক্লাব পরিচালিত স্কুল এর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি, ছাত্র-ছাত্রী এবং ক্যাম্পাসবাসীর অংশগ্রহণে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে এ মঙ্গল শোভাযাত্রাটি পুরাতন কলাভবনে এসে শেষ হয়। এরপর সকাল এগারোটায় মহুয়াতলায় বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে লোকগান ও বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২রা বৈশাখ বিকেল পাঁচটায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে লোক সঙ্গীত এবং ৩রা বৈশাখ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে গাজীর পালা পরিবেশন করা হবে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ঢাক প্রদীপ প্রজ্বলন, গুড় গুড়, ভেলা ভাসানো, সঙযাত্রা, যাত্রাপালা পরিবেশন করা হয়। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
এছাড়াও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, হল, বিভাগ এবং অফিস পৃথক পৃথকভাবে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৫ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস