ঢাকা: রাত ৮টা ৪৫ মিনিট: গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গীরা প্রথম হামলা চালায়। হামলার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন সেখান থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মচারী সুমন রেজা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ঢাকার যমুনা টেলিভিশনকে: “আমরা ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে শুনি গোলাগুলি হচ্ছে। দেখি আমাদের পিৎজা বানানোর যে কিচেন, তার সামনে দুজন লোক। ওরা সেখান থেকে প্রথম অ্যাটাক শুরু করলো। প্রথমে ফাঁকা গুলি করলো। গেস্টরা সব শুয়ে পড়লো যে যার মতো। আমরা যে যেভাবে পেরেছি ছাদে চলে গেছি। হামলাকারীদের বয়স হবে সর্বোচ্চ ২৮ বছর। দুজনের মুখ ভালোভাবে দেখেছি, তাদের দাড়ি-টাড়ি ছিল না। হামলকারীরা প্রায় দশ বারোটা বোমা মেরেছে। তখন পুরো বিল্ডিং কাঁপছিল। আমরা তখন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিরাপদ জায়গায় যাই।”
যে রেস্টুরেন্টে জঙ্গীরা বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে তার খুব কাছেই এক ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। ““আমাকে আমার ড্রাইভার বললেন, আপা আপনি এখন বেরুবেন না, নীচে গোলাগুলি চলছে। তারপর দেখি আমার ড্রয়িং রুমের জানালার কাঁচে ফেটে গেল। তারপর থেকে অনবরত গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমার মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। আমরা সবাই কান্নাকাটি শুরু করি। কারণ খুবই আতংকজনক একটা পরিস্থিতি।” রাত নয়টা পাঁচ মিনিট: গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গীদের হামলার খবর পায় পুলিশ। গুলশানের পুলিশের এসিস্ট্যান্ট কমিশনার আশরাফুল করিম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
৯টা ২০ মিনিট: ঘটনাস্থলে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানান। ঢাকার উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক এসময় টুইট “পুলিশ ইজ সারাউন্ডিং দ্য এরিয়া, গানফায়ার স্টিল অন”। পুলিশ রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে জঙ্গীরা গুলি এবং বোমা ছুঁড়ে মারে পুলিশের দিকে। শুরু হয় বন্দুক যুদ্ধ।
৯টা ৩০ মিনিট: গোলাগুলিতে আহত হন বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রাত ১০ টা: পুলিশ, র্যাব এবং আধা সামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের কয়েকশো সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। ১১: ১৫ হাসপাতালে মারা যান বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।-বিবিসি
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ