নিউজ ডেস্ক: ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও নিহত জঙ্গি শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের লাশ ফেরত চান তার শয্যাশায়ী বৃদ্ধা মা আসিয়া বেগম।
একই ঘটনায় নিহত জঙ্গি খায়রুল ইসলাম পায়েলের মরদেহ ফেরত চেয়েছেন তার বড় বোন হোসনে আরা বেগম।
তাদের দুজনের লাশ এক নজর দেখতে এবং দাফন করতে দুটি পরিবারের সদস্যরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে লাশ সনাক্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা শেষে দুই জঙ্গির চার স্বজন ঢাকা থেকে ঈদের আগে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
জানা গেছে, জঙ্গি শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের বাবা বদিউজ্জামান ও ভাই আসাদুল ইসলাম এবং জঙ্গি খায়রুল ইসলাম পায়েলের বাবা আবুল হোসেন ও পিয়ারা বেগমের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।
দুই জঙ্গির লাশ সনাক্তে তাদের এ পরীক্ষা করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
ডিবি পুলিশ গত ৩ জুলাই বিকালে শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে জঙ্গি খায়রুল ইসলাম পায়েলের বাবা আবুল হোসেন ও পিয়ারা বেগমকে আটক করে। তাদের অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ধুনট থানা পুলিশ ৪ জুলাই বিকালে ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান চল্লিশপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে উজ্জ্বলের বাবা বদিউজ্জামান ও ভাই আসাদুল ইসলামকে আটক করে। তাদেরও দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
৫ জুলাই সকালে তাদের চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, লাশ সনাক্তে দুই জঙ্গির চার স্বজনকে ঢাকায় নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। ঈদের আগে তারা সকলে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
চুপিনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল ফকির জানান, পায়েলের বাবা-মা বাড়িতে ফিরে এসেছেন।-যুগান্তর
০৯ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস