ঢাকা : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারী ও বৃদ্ধসহ চার প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এক পুলিশ সদস্য। আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় ওই পুলিশ সদস্যকে প্রধান আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ের গুমগ্রাম এলাকায়।
আহতদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফেরেনি।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী পুলিশ সদস্য রমজান আলী গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গুমগ্রাম এলাকায়।
৩০ শতাংশ জমি নিয়ে তার বাবা সাহেব আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী মো. আব্দুল মজিদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই পুলিশ সদস্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিটি দখলের চেষ্টা চালায়।
এ সময় আবদুল মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে ওই পুলিশ সদস্য তার বাহিনী নিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের আহত করে।
আহতরা হলেন আবদুল মজিদ, তার স্ত্রী জহিরন নেছা, ছেলে বেলায়েত হোসেন ও দুলাল হোসেন। পরে তাদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেন রমজান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য রমজান আলী বলেন, আমার বাবা ওই ৩০ শতাংশ জমির মালিক হলেও তা লোকবলের অভাবে ভোগদখল করতে পারেনি। আমরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকার কারণে বাবা ওই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে ব্যর্থ হন।
তিনি বলেন, এখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক। ওই জমির দখল নিতে যাই। এ সময় প্রতিপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। তবে তাদের হত্যার কোনো চেষ্টা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
হামলার শিকার মো. আবদুল মজিদ বলেন, ওই জমিটি আমার দখলে। সব কাগজপত্রও আমার অনুকূলে। রমজান আরী সন্ত্রাসী কায়দায় ওই জমি দখল করতে চায়। এতে বাধা দিলে হামলা চালানো হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলাকারীরা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৫ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম