ঢাকা : রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নং সড়কের ৫ তলা ভবনে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। র্যাব-পুলিশের অন্তত ১০০০ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছেন অভিযানে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভবনটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের মুহুর্মুহূ গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সোমবার দিবাগত রাতে স্থানীয় এক বাসিন্দা শামসুল আলম তার নিজের ফেসবুকে এসব ঘটনার কথা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দের পাশাপাশি জঙ্গিদের স্লোগান পাশের ৩ নম্বর রোড থেকে শোনা গেছে বলেও জানান তিনি। গুলি আর জঙ্গিদের স্লোগানের বিষয়ে ৪ ঘণ্টা আগে ফেসবুকে শামসুল আলম লেখেন, ‘আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা খুব বিপদে আছি। শুধু গুলি আর গুলি, জঙ্গিদের স্লোগান। কল্যাণপুর ৩ নম্বর রোড। জানি না বাহিরে কি হচ্ছে।’
এর কাছাকাছি সময়েই আরেক স্ট্যটাসে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা কর। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার জানাচ্ছি, তারা শুধু বলছে তারাও নাকি অপারেশনে আছে। কিন্তু আমরা শুধু জঙ্গিদেরই আওয়াজ শুনছি।’
পরে সর্বশেষ স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘সর্বশেষ ৩.১৭ মিনিটে জঙ্গিদের স্লোগান আর গুলির শব্দ শুনেছি। এখন নিঃশব্দ। প্রশাসন বা জঙ্গি, কোনও পক্ষেই আওয়াজ নেই। সম্ভবত আমাদের বাসার গেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমাদের বাসায় সম্ভবত প্রশাসন অবস্থান করছে। তবে ১০০% বলতে পারছি না। কিছু সূত্রে জানতে পারলাম সকাল প্রশাসনের অভিযান চলবে। জানি না কি হয়। সবার কাছে দোয়া চাই। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’
উল্লেখ্য, সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পেলে পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এই সময় হাসান নামে এক জঙ্গি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। জঙ্গি হাসান জানান, তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য।
আটক হাসান পুলিশকে জানায়, সে জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। ওই বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার আগে মোট জেএমবির ১১ জন সদস্য অবস্থান করছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন জেএমবি সদস্য পালিয়ে যায়। বাকি সাতজন ওই বাড়ির ভেতরেই রয়েছে।
২৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস