ঢাকা : ‘আইছিরে আইছি, ভালো জায়গায় আইয়া গেছে।’ নামার আগেই প্রিজনভ্যান থেকে ভেসে এল এতটুকুই। ওদের চোখেমুখে উল্লাস। প্রিজনভ্যানের লোহার সাত শিকের ফাঁক দিয়ে কেউ কেউ হাত নেড়ে জানান দিচ্ছে তাদের অাগমনের বার্তা।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে এক মুহূর্তের কথা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীদের শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন কারাগারে অানা হচ্ছে।
বন্দী হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে সড়কে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেল গেটে প্রবেশের অাগেই পুলিশের সতর্ক অবস্থান। মিডিয়া কর্মীদের তৎপরতাও ঠিক অন্যরকম। প্রিজনভ্যানের বহরের অাগে-পিছে পুলিশ-র্যাবের সাইরেন বাজানো ডজনখানেক গাড়ি।
বন্দীরা যখন ভ্যান রাস্তা ছেড়ে মোড় নিচ্ছে, তখন ভ্যানের ভেতর থেকেই হই-হুল্লুড় করছেন তারা।
লোহার শিক আর জালের ফাঁক দিয়ে হাত নেড়ে জানান দিচ্ছেন উপস্থিত সবাইকে। উপস্থিত স্বজনরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বন্দীরা কেউ মামা, কেউ ভাই বলে সম্বোধন করে হাঁক ছেড়ে বলছেন, ‘ভালো অাছেন অাপনেরা। অামরা ভালো অাছি।` কেউ বলছে, ‘আইয়া পড়ছিরে, ভালো জায়গায় আইয়া গেছি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শেখ মারুফ হাসান শুক্রবার সকালে বলেন, বন্দীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এতো বন্দী একসঙ্গে কখনোই স্থানান্তর করা হয়নি। এটা ঐতিহাসিক বলে দাবি করেন শেখ মারুফ হাসান।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ভোর ৪টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নেতৃত্বে নিরাপত্তার কাজ করছে র্যাব, এফিবিএনসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বন্দীদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়।
যে রাস্তা দিয়ে বন্দীদের কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়া হচ্ছে ওই রাস্তা ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
২৯ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম