ঢাকা : প্রায় সোয়া ২শ বছর আগে নির্মিত পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে বন্দির সংখ্যা অনুমোদিত সীমার প্রায় তিনগুণ। সে কারণেই নির্মাণ করা হয়েছে নতুন কারাগার। ২০০৭ সালে নতুন এ কারাগারের নির্মাণ শুরু হয়।
১৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির ওপর ৪ হাজার ৫৯০ বন্দি ধারণক্ষমতার নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দক্ষিণে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে। গত ১০ এপ্রিল নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন কারগারের পেরিমিটার দেয়ালের ভেতরে ৩০০০ বিচারাধীন আসামি ওয়ার্ড রয়েছে। পেরিমিটার দেয়ালের বাইরে ১২৩০ দশমিক ৯৬ আয়তনের একটি চার তলা ভিত্তির দুই তলার প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। সাক্ষাৎকার ভবন রয়েছে একটি। এছাড়া বিভিন্ন আয়তনের ৯৮টি আবাসিক কোয়ার্টার ইউনিট রয়েছে। ৩৮৪ কারারক্ষী থাকার জন্য রয়েছে ব্যারাক।
সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ওয়ার্ড রয়েছে ১ হাজার। ৪০০টি বিপজ্জনক বন্দি সেল রয়েছে। একটি কিশোর বন্দি ভবন রয়েছে, যাতে ১০০ কিশোর বন্দি থাকার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া একটি শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দি ভবন রয়েছে, যাতে থাকার ব্যবস্থা আছে ৬০ (ভিআইপি) বন্দির। এমআই ইউনিটে থাকতে পারবে ২০ বন্দি। কারাগারের ভেতরে রয়েছে ১ টি অত্যাধুনিক ফাঁসির মঞ্চ। সেখানে একসাথে দুইজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা যাবে।
এছাড়া ১টি জেলা স্কুল অ্যান্ড লাইব্রেরি, ৮টি রান্নাঘর, ১৬ টি ডে-টাইম বাথিং, ১ টি ওয়ার্ক সেল, ১ টি সেলুন, ১ টি আটা তৈরির কল, ১ টি কেইস টেবিল, ১০টি পানির রিজার্ভার, ১০টি পাম্প হাউজ রয়েছে। পুরো কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে ৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক বারবেড ওয়ারফেন্সিং। রয়েছে ৪০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ১ টি জেনারেটর। ৩ টি গোডাউন, ১টি সাবস্টেশন ভবন। ৪টি অবজারভেশন টাওয়ার, ২টি সেন্ট্রি বক্স ও ১ টি মসজিদ।
নতুন কারাগারে রয়েছে ৬টি ভবন। ভবনগুলোর নাম করণ করা হয়ে নদী ও ফুলের নামে। পদ্মা, যমুনা ও করতোয়া নাম দেওয়া হয়েছে তিনটি ভবনের এবং বকুল, শাপলা ও চম্পাকলি রাখা হয়েছে অপর তিন ভবনের।
৩০ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস