শনিবার, ০৬ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:২৮:১২

আলহামদুলিল্লাহ, মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ ভরি স্বর্ণ জমিয়েছিলেন এই নারী

আলহামদুলিল্লাহ, মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ ভরি স্বর্ণ জমিয়েছিলেন এই নারী

ঢাকা : মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০শ’ ভরি স্বর্ণ জমিয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তার মা মনোয়ারা সুলতানা।  স্বর্ণগুলো লুট করতেই নিজ বাসায় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

শনিবার সকালে র‌্যাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২ জুন শনিবার গভীর রাতে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের নিজ বাড়ি থেকে মনোয়ারা সুলতানার (৬৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মনোয়ারা মৃত ডা. আবু মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী।  তার ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মেজর (অব.) ইকবাল ইবনে ইউসুফ অস্ট্রেলিয়ায় ও ছোট ছেলে আরমান ইবনে ইউসুফ আমেরিকায় থাকেন।  মেজো ছেলে কর্নেল খালেদ বিন ইউসুফ চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত।

মনোয়ারার ভাই মির্জা আজম বেগ গণমাধ্যমকে জানান, তার বোন দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবে ছিলেন।  সেখানে থাকা অবস্থায় অনেক স্বর্ণালঙ্কার কিনেছিলেন তিনি।  

তিনি জানান, একটি মসজিদ বানানোর ইচ্ছা ছিল তার।  এর ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বর্ণগুলো ব্যবহারের ইচ্ছা ছিল তার।  তিনি কয়েক বছর ধরে আরো স্বর্ণ জমাচ্ছিলেন।  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ জমিয়েছেন তিনি।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, গত ৪ জুন ঘটে যাওয়া এ হত্যাকাণ্ডের দিনই ভাড়াটিয়া লায়লা আক্তার লাবণ্যকে আটক করা হয়।  আজ দারোয়ান গোলাম নবী ওরফে আবু ওরফে রবিকে আটক করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, পঞ্চম তলা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন মানোয়ারা।  তার দেখভাল'র জন্য একজন গৃহকর্মীও থাকতেন।  কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ৩-৪ দিন আগে থেকে ওই নারী ওই বাসায় ছিলেন না।  

তারা জানান, বুয়ার অনুপস্থিতিতে ওই বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া লাবণ্য মনোয়ারাকে খাবার দিতেন।  ঘটনার দিন রাতেও তিনি খাবার দিতে ওই বাসায় যান।  এসময় তার সাথেই ছিলেন দারোয়ান রবি। তারা দুজন মিলে প্রথমে মানোয়ারাকে শ্বাসরোধ করেন।  পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মরদেহ সোফায় বসিয়ে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।

র‌্যাব জানায়, খুনিরা হত্যার পর স্বর্ণের জন্য বাসার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে- এমন আলামত পাওয়া গেছে।  কিন্তু তারা কোনো স্বর্ণ পায়নি।  কারণ সেগুলো ব্যাংকের ভল্টে রাখা ছিল।

উত্তরা (পশ্চিম) থানার উপপরিদর্শক মামুন মিয়া জানান, নিহতের গলা কাটা ছিল।  মৃতদেহের থুতনি ও গালে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল।  বাসার ড্রয়িং রুমে সোফায় হেলানো অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।
৬ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে