নিউজ ডেস্ক : সাবধান! মোবাইল নাম্বার হ্যাক করে হাওয়া হয়ে যেতে পারে আপনার বিকাশের টাকা! প্রতারক চক্র এ ধরনের কাজ করতে সর্বদা ওঁৎ পেতে থাকে।
এমন এক ঘটনা আজ ঘটেছে সাভারের আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকায়। মাত্র ১৩ মিনিটে বিকাশ এজেন্টের অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় ওই এলাকার মডার্ন স্টুডিও অ্যান্ড টেলিকম রোববার সকালে র্যাব-৪ এবং আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
দোকানের মালিক ও বিকাশ এজেন্ট মো. রিপন খান
জানান, শনিবার দুপুরে রিপনের মোবাইল ফোনে তার নবীনগরের বিকাশ লোড অফিস অনুমোদিত প্রতিনিধি নাসিরের নম্বর (০১৭০৯৯১৬৭৬০) থেকে কল আসে।
ফোনে তাকে জানানো হয়, নতুন সিস্টেমে এজেন্ট টু এজেন্ট টাকা পাঠানো যাবে। রিপনকে এর জন্য কিছু নির্দেশনা নেয়ার জন্য ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে এজেন্ট নম্বরে কল দেয়ার জন্য বলা হয়।
রিপনও কল দেন। কল পরবর্তী ১৩ মিনিটে ৮ কিস্তিতে ২৫ হাজার টাকা করে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
বিষয়টি বুঝতে পেরে রিপন দ্রুত নবীনগরের স্থানীয় বিকাশ লোড অফিস অনুমোদিত প্রতিনিধি নাসিরের সঙ্গে দেখা করেন। তবে নাসির এ ঘটনা জানেন না বলে জানান।
সেখানে থাকা অবস্থাতেই নাসিরের হ্যাক হওয়া মোবাইল নম্বর থেকে রিপনের কাছে কল আসে।
দোকান মালিক ও বিকাশ এজেন্টরা জানতে পারেন, হ্যাকাররা অভিনব পন্থায় বায়োমেট্রিক করা রবি, বাংলা লিংক এবং গ্রামীণের ৮টি সিম নম্বর দিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পরবর্তীতে ওই নম্বরগুলোর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবগুলো নম্বরই বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা। নম্বরগুলো হলো : ০১৮৩০৯১৫৯৬৬/০১৭৪৯২৪৫৭২২/০১৭৪৯৬৯৯৮৮১/০১৮৩০৯৩৯২৭৯/০১৭৩২৬২১৮০৭/০১৭৪৯৮৬০৬৮৭/০১৯৯২৮৯১৩৭৬/০১৯২২০১২৪০৯।
এর মধ্যে শেষের দুটি এনআইডি নাম্বার পাওয়া গেছে। এটি হলো, ৩৫১৫৮৩৩৮৮৭৩৭৫ জন্ম তারিখ ৩০-১২-১৯৫০ ইং এবং ১৯৯৩৮৭১০৪৯৪০০০০২৫ জন্ম তারিখ ২৫-০৮-১৯৯৩ইং।
এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রিপন স্থানীয় র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
র্যাব -৪ এর এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তারা জেনেছেন। শুধু বিকাশ এজেন্টদের নাম্বার নয় একটি গ্রুপ জাল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
৭ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম