সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১, ০৮:০৯:৫৫

'জিয়া বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন'

'জিয়া বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন'

ফজিবর রহমান বাবু : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও মানুষকে অসম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে বোঝাতে হয়। মানুষকে সচেতন করতে হয়। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক দেশ গড়তে কিছু কুচক্রী মহল পায়তারা করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেয়া হবে। সবখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ ধর্ম পালন করছে। দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন বরাদ্দ দিয়ে সবাইকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালনের সুযোগ করছেন। আমরা নিজেরাই যদি ধর্ম নিয়ে দাঙা না করি তবে দেশের সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তির সাথে পালন হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যেনো কেউ কোনধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।

১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে উপজেলা পূজা মন্ডপ এবং দুঃস্থ ব্যাক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত অনুদানের চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

এসময় পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং উপজেলা শাখা পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার ৩ জন দুঃস্থ ব্যাক্তি ও ২৪ টি মন্দিরে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশকে একটা সম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসলে এদেশের সংখ্যালঘুরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে পারত না। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষকে তার ধর্ম পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা ম্লান হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ম্লান হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিদ কায়সার রিয়াদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল মোমিন,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুখসানা বারী রুকু, পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর ইকবাল, রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, উপজেলা শাখা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৈলাষ প্রসাদ সোনা প্রমুখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে