বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৪৭:২৫

অবাক কাণ্ড, গুহার ভিতর আস্ত গ্রাম সেখানে রয়েছে স্কুল-খেলার মাঠ

অবাক কাণ্ড, গুহার ভিতর আস্ত গ্রাম সেখানে রয়েছে স্কুল-খেলার মাঠ

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এ যেন আদিম যুগ। গুহার ভিতর বাস। অতি সাধারণ জীবনযাপন। বাচ্চাদের লেখাপড়া থেকে খেলাধুলো— সব কিছুই গুহার ভিতর। দক্ষিণ চীনের গুইজহু প্রদেশের ঝংডং মিয়াও গ্রাম। আজ থেকে একশ' বছর আগে সরকার এই গ্রামের বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করলেও প্রত্যাখান করেছিলেন তারা। এরপর আনসুন পর্বতমালার একটি গুহায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন এই এলাকার মানুষ। লোকা-লয়হীন, পাহাড় পর্বতে ঘেরা সঙ্কুল পরিবেশকে বসবাসযোগ্য করে তুলেছেন গুহাবাসীরা। জেনে নেয়া যাক সেই গুহার গ্রাম সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য।

১. ঝংডং গ্রামের জন সংখ্যা ১০০জনের মতো। সমুদ্রতল থেকে ৬ হাজার ফুট উঁচুতে রয়েছে এই গ্রাম।

২. এই গুহার ভিতর শুধু কয়েকটি পরিবারই নয়, তাদের সঙ্গে রয়েছে গরু, কুকুর, মুরগি। পশুপালনই তাদের প্রধান জীবিকা।

৩. একটি স্কুলও ছিল এই গুহায়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করত সেখানে। ২০০ ছাত্র পড়ত এই স্কুলে। কিন্তু ২০১০ সালে এই স্কুল বন্ধ করে দিয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেয় সরকার।

৪. ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তাদের বাজারে যেতে হয়।

৫. গুহার ভিতর খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে বাস্কেট বল, টেবিল টেনিসসহ আরো অনেক খেলাই খেলা হয়।

৬. ২৩০ মিটার লম্বা, ১১৫ মিটার চওড়া ও ৫০ মিটার উচ্চতার গুহাই তাদের একমাত্র জগত। পশুপালন ছাড়া ধান চাষ, বিভিন্ন কুটির শিল্পের কাজ করেন তারা।

৭. ২০০৩ সালে হুরাঙ্ক বোদ নামে এক আমেরিকান এই গ্রামে ঘুরতে এসে মুগ্ধ হয়ে যান তাদের আতিথেয়তায়। তার অর্থ সাহায্যে গ্রামে বিদ্যুৎ আসে।

৮. এখন আর অন্ধকার গুহায় থাকেন না তারা। শুধু তাই নয়, ঘরে ঘরে রয়েছে টেলিভিশন। মোবাইল টাওয়ারও বসানো হয়েছে। যদিও ইকো সিস্টেম তৈরি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে এই গুহায়।-আনন্দবাজার
এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে