শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬, ০১:৪৮:০৭

বারবার খিদে পায়? তাহলে কিন্তু বড় রোগের পূর্বাভাস!

বারবার খিদে পায়? তাহলে কিন্তু বড় রোগের পূর্বাভাস!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই ক্ষিদে পাচ্ছে? সবসময় কেমন যেন একটা খাই খাই ভাব? এমন লক্ষণ কিন্তু মোটেও শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বরং চিন্তার কারন। অতিরিক্ত খাই খাই ভাব মানেই কিছু হরমোনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ। বড় রোগের পূর্বাভাস।

খিদে না পেলেও খালি খাই খাই। এমনটা হতেই পারে। কারন রক্তে চিনির পরিমান কমে গেলে কিংবা শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে ক্ষিদে ক্ষিদে ভাব বেড়ে যায়।

খাই খাই কর কেন?

দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরন করে। এই হরমোনই আমাদের খেতে আগ্রহী করে তোলে। দুশ্চিন্তা না কমা পর্যন্ত এই হরমোন নির্গমন বন্ধ হয় না। এর প্রেক্ষিতে আমাদের চর্বি এবং চিনিতে ভরপুর খাবার খেতেই বেশি ইচ্ছে করে। যার ফলে শরীরে জমে বাড়তি মেদ।

কী করবেন?

দুশ্চিন্তায় ভুগলে চকোলেট, চিপস, আইসক্রিম নয় বরং বসে যান ধ্যানে। পাঁচ মিনিটের ধ্যান কিংবা একটু হাঁটাহাঁটি মনকে একটু শান্ত করবে, কর্টিসলের মাত্রাও কমে যাবে স্বাভাবিকভাবেই।

চিকিত্‍সা বিজ্ঞানে রক্তে চিনির মাত্রা কমে যাওয়া মানে হাইপোগ্লাইসেমিয়া। মূলত সত্যিকারের হাইপোগ্লাইসেমিয়া ডায়াবেটিস রোগীদেরই হয়। ডায়াবেটিস রোগী ছাড়াও সাধারণের রক্তে চিনির পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে।

মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ঘাম, বমি বমি ভাব হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ। হাইপোগ্লাইসেমিয়াতেও ক্ষিদের পরিমান বাড়ে। অনেক সময় মন খারাপ বা হতাশা থেকেও ক্ষিদে বেড়ে যায়। লেপটিন নামক একধরনের হরমোন খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করে। 

এই হরমোন ঠিক মতো কাজ না করলে ভরা পেটেও ক্ষিদে পায়। অস্বাভাবিক ওজনের অধিকারী যারা তাদের শরীরে লেপটিন ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে তাদের খাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশি। এই সমস্ত দিকে একটু নজর রাখলেই ক্ষিদে পাওয়ার অভ্যাস কমবে। শরীর সুস্থ থাকবে।-জিনিউজ

১২ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে